পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬২
স্রোতের গতি

সময় তাঁহার মনের বিষ সময় সময় এমন তীব্র ও তীক্ষ্ণ মন্তব্যরূপে ঠোঁটের বাহিরে আসিয়া পড়িত, যাহা কোন নারীর পক্ষেই বীণাধ্বনিবৎ প্রতীয়মান হইতে পারে না অন্ততঃ অমিয়ার ত হয় নাই।

 পুরুষের প্রতি স্বাভাবিক তাচ্ছিল্যে সে কখনও কোন পুরুষের স্তুতি-নিন্দার প্রতি লক্ষ্য রাখে নাই সত্য, কে তাহাকে কি ভাবে দেখিতেছে ইহা জানিবার ইচ্ছা বা আগ্রহও তাহার কোনদিন জন্মে নাই। কিন্তু সে যে সুন্দরী, এ খবর তাহার নিজের কাছে অজ্ঞাত ছিল না। সৌন্দর্য্যের পূজা পাইবার যে স্বাভাবিক ইচ্ছা বা দাবী এতদিন তাহার মনের নিভৃত প্রদেশে গোপনে লুকাইয়াছিল, তাহাকে প্রশ্রয় না দিলেও, আশ্রয় দিতে সে অনিচ্ছুক ছিল না। সখী-সঙ্গিনীদের মুখে নিজ রূপের প্রশংসা সে চিরদিনই শুনিয়া আসিতেছে―এ স্তুতি সে তাহার অবশ্যপ্রাপ্য হিসাবে অবহেলাতেই গ্রহণ করিয়া থাকে। তাই রণেন্দ্রের এই তীব্র তাচ্ছিল্য তাহাকে শুধু অপমানিত নয়, পীড়িতও করিল। মনে হইল, সে কি এতই কুরূপা যে চোখে দেখাও সহা যায় না? এমন তীব্র বিদ্বেষ সেও ত কৈ কোন সম্প্রদায়-বিশেষের প্রতি পোষণ করে না। অভিমানে আঘাত লাগায় নিজকে সে ভুল বুঝাইল। রণেন্দ্র