পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্রোতের গতি
৭৩

ইতিহাস সংগ্রহ করিয়া সে গ্রন্থ রচনা করিবে, যাহা জগতে সম্পূর্ণই নূতন “নারীর বিদ্রোহ” পুস্তকের চেয়ে তাহা কোন অংশে হীন হইবে না। আর এই উপাদেয় প্রবন্ধগুলি যখন মাসিকপত্রিকা “আরতি”র পৃষ্ঠা অলঙ্কৃত করিবে, তখন শুধুই নীরস সংস্কারক বলিয়া লোকসমাজে তাহার নাম আলোচিত হইবে না। অন্তঃসলিলা ফল্‌গু-স্রোতের ন্যায় তাহার অন্তঃপ্রবাহিত রসধারার শীতল স্পর্শে পাঠকগণ শুধু বিস্মিত নয়―মুগ্ধও হইয়া যাইবে।

 কল্পনা কিন্তু কল্পনাতেই রহিয়া গিয়াছে; এ পর্য্যন্ত তাহা কার্য্যে লাগাইবার কোন চেষ্টাই করা হয় নাই। গ্রন্থ লিখিবার উপযোগী সময় ও সরঞ্জামের অপ্রতুল ছিল না। চারিদিকের প্রাকৃতিক দৃশ্য মনের মধ্যে যথেষ্ট কবিত্ব সঞ্চারও করিয়া থাকে। তবু সেগুলির সদ্‌ব্যবহার হইয়া উঠে না। চিন্তার ধারা সমস্তই যেন উল্‌টা-পথে বহিতে থাকে। এমন কি, তাহার চিরদিনের দৃঢ় বিশ্বাসের মূল কখন যে ধীরে ধীরে শিথিল হইয়া পুরুষজাতির প্রতি তীব্র ঘৃণার ভাবটি কমাইয়া দিতেছিল, তাহা সেও যেন ধরিতে পারিতেছিল না।

 প্রাণতোষবাবুর ন্যায় উচ্চ-শিক্ষিত মানুষ যে কেমন করিয়া এই সব নির্ব্বোধ চাষাভুষার দলে, তাহাদের সুখ-