পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AW)o ठूख्5-द्वाङ्मा “তাহাও বলিতে হইবে ? জানিলাম, উমিচান্দ। দুইজনে গোপনে এই বাড়ীতে প্ৰায়ই দেখা-সাক্ষাৎ করিত।” “উমিচান্দ যে খুন করিয়াছে, তাহার প্রমাণ কি ? আমি ত একটিও দেখিতে পাইতেছি না । সত্য উমিচান্দ আর রঙ্গিয়ার মধ্যে ভালবাসা ছিল ; কিন্তু রঙ্গিয়ার সঙ্গে সে রাত্রে উমিচান্দ ছিল, তাহার প্রমাণ কি ? এ কথা রঙ্গিয়া আর হুজুরীমল বলিতে পারিত, কিন্তু তাহারা দুইজনেই ইহলোকে নাই।” “এখনও কোন কোন প্ৰমাণের অভাব আছে, স্বীকার করি ; কিন্তু উমিচাঁদ যে ভীরু, তাহাকে ভয় দেখাইলে--কেবল এই ওয়ারেন্টখানা দেখাইলেই সে সব স্বীকার করিয়া ফেলিবে ।” “যদি সে এতই দুর্বল হয় যে, ভয়ে সব স্বীকার করিয়া ফেলে, তাহা হইলে তাহাতেই বুঝিতে পারা যাইতেছে যে, তাহার মত ভীরু এরূপভাবে দুইটা খুন করিতে পারে না।” “ওর চেয়েও ভীরু লোকে ইহা অপেক্ষাও ভয়ানক কাজ করিয়াছে।” “সে কিরূপে খুন করিল ? আপনি এ বিষয়ে কি মনে করেন ?” “সে কোন রকমে জানিতে পারে যে, রঙ্গিয়া গোপনে রাত বারটার সময়ে রাণীর গলিতে হুজুরীমলের সঙ্গে দেখা করিবে-তােহর সঙ্গে পলাইবে । সে জানিত না যে, গঙ্গা নিজে না গিয়া তাহাকে নিজের কাপড় পরাইয়া হুজুরীমলের নিকটে পাঠাইয়াছিল। তাহার দৃঢ় বিশ্বাস হইয়াছিল যে, রঙ্গিয়াই হুজুরীমলের সঙ্গে পলাইতেছে। এরূপ অবস্থায় লোকের যাহা হয়, উমিচাদেরও তাঁহাই হইল। সে ক্ষোভে দ্বেষে উন্মত্তপ্ৰায় হইল, একখানা ছোরা সংগ্ৰহ করিল ; আগেই গিয়া রাণীর গলিতে লুকাইয়া রহিল। তাহার পর রঙ্গিয়া হুজুরীমলের সঙ্গে দেখা করিল, অমনি সে গিয়া হুজুরীমলের বুকে ছোরাখানা বসাইয়া দিল।