হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প
চলন নেই যিনি বছরে বার-দুই শিষ্যবাড়ি পায়ের ধুলো দেন আর পাঁচ সের চাল, পাঁচ পো চিনি, গোটা দশেক টাকা লাট্টু মার্কা থান ধুতিতে বেঁধে প্রস্থান করেন। এখন এমন গুরু চাই যাঁর চেহারা দেখলে মন খুশী হয়, বচন শুনলে প্রাণ আনচান করে।’
বংশলোচনের ভাগনে উদয় বলিল ‘মামাবাবু যদি মামীকে মুরগি ধরাতেন তবে আর এসব খেয়াল হ’ত না। তাইজন্যেই তো আমার শাশুড়ী মন্তর নিতে পারছেন না।’
চাটুজ্যে বলিলেন ‘ছাই জানিস উদো। উপেন পালের নাম শুনেছিস? সেবার মধুপুরে গিয়ে দেখলুম প্রকাণ্ড বাড়ি, দশ বিঘে বাগান, দশটা গাই, এক পাল মুরগি। রাজর্ষির চালে থাকেন, ঘরেব তরি-তরকারি, ঘরের দুধ, ঘরের মুরগি। সস্ত্রীক ধর্ম আচরণ করেন, সঙ্গে চার জন গুরু হামেহাল হাজির, নিজের দুজন, স্ত্রীর দুজন।’
উপযুক্ত গুরু কে আছেন এই লইয়া অনেকক্ষণ আলোচনা হইল। পর্বতবাসী সন্ন্যাসী, আশ্রমবাসী মহারাজ, স্বচ্ছন্দচারী লেংটাবাবা, বৈজ্ঞানিক মহাপুরুষ, উদারপন্থী আধুনিক সাধু অনেকের নাম উঠিল। কিন্তু মুশকিল এই, বংশলোচন যাঁঁহাকে উপযুক্ত অর্থাৎ নিরাপদ মনে করেন, গৃহিণীর হয়তো তাঁহাকে পছন্দ হইবে না।
এমন সময় বংশলোচনের শালা নগেন দোতলা হইতে
88