গুরুবিদায়
নামিয়া আসিয়া বলিল —‘আপনারা আর মাথা ঘামাবেন না, দিদি গুরু ঠিক ক’রে ফেলেছেন।’
বংশলোচন ক্ষীণ কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন ‘কে?’
‘বালিগঞ্জের খল্বিদং স্বামী। অ্যাসা সুন্দর গাইতে পারেন। চেহারাটিও তেমনি, বয়সে এই জামাইবাবুর চেয়ে কিছু কম হবে। শুনেছি ছেলেবেলা থেকেই একটা উদাস উদাস ভাব ছিল, টেনিস খেলতে খেলতে কতবার অজ্ঞান হয়ে পড়তেন। সংসারে যদ্দিন ছিলেন, নাম ছিল পরান সরকার। তারপর স্ত্রীবিয়োগ হতেই স্বামী হয়েছেন। এখন তাঁর প্রায় দু-শ শিষ্য, চার-শ শিষ্যা।
‘একবারে সব ঠিক হয়ে গেছে নাকি?’
‘উঁহু, দিদি তাতে চালাক আছেন। কাল স্বামীজীকে নিয়ে আসছি, এখানে হপ্তা-খানিক জাঁকড়ে থাকবেন, যাকে বলে প্রোবেশন। তারপর দিদির যদি ভক্তিটক্তি হয় তবে মস্তর নেবেন।’
চাটুজ্যে মহাশয় বলিবেন—‘অতি উত্তম ব্যবস্থ। গুরুটির সন্ধান দিলে কে?’
নগেন বলিল- ‘আমিই দিয়েছি। আমার বন্ধুদের মহলে ওঁর খুব খ্যাতি। আপনারাও দেখলে মোহিত হয়ে যাবেন।’
৪৫