হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প
চাটুজ্যে ঠোঁটে আঙুল দিয়া বলিলেন— ‘চুপ, আস্তে আস্তে।’
ম্যানেজার সহাস্যে বলিল ‘লজ্জা কি মোসাই, এখানে কত বুড়ো থুথুড়ে জজ মেজিষ্টর মহামহোপাধ্যায় পায়ের ধুলো দেন। আপনারা বরঞ্চ পর্দাটা টেনে দিয়ে বসুন। কি খাবেন মোসাই?’
চাটুজ্যে। অ, এখানে বুঝি অম্নি বসা যায় না?
ম্যানেজার। হেঁ-হেঁ। খান-দুই কাটলেট দেব কি? অ্যাংলো-মোগলাইএর নবতম অবদান —মুবগির ফ্রেঞ্চ মালপো, কচি ভাইটো-পাঁটার ইষ্টু —দেখুন না একটু ট্রাই ক’রে।
চাটুজ্যে। না বাপু, অবদান খাবার আর বয়স নেই।
ম্যানেজার চরণ ঘোষের টিকি আর কষ্টি লক্ষ্য করিয়া বলিল —‘ঠাকুরমোসাই, আপনাকে খান-দুই ডবল ডিমের রাধাবল্লভি দেবে কি?’
চরণ। দেবে আমার মাথা। ডাক ঐ রাক্ষসটাকে।
ম্যানেজার। রাক্ষস-টাক্ষস এখানে পাবেন না মোসাই, সব জেণ্টেলম্যান।
চাটুজ্যে। আরে কর কি চরণ, চুপ চুপ। নিজের ছেলেবেলার কীর্তিকলাপ সব ভুলে গেলে? সেই যে কাববের ঠোঙা নিয়ে গাব গাছে চ’ড়ে খেতে আর কোকিল ডাকতে তা কি মনে নেই? এখন না-হয় গোঁসাই মহারাজের কাছে
৮৬