পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছরিযে বিষাদ । نیا রাইকিশোরী—সংক্ষেপে কিশোরী দিদিকে—সকলেই ডরাইত। রাস্ত দিয়া কিশোরী দিদিকে যাইতে দেখিলে কেহ ডাকিয় কোন কথা জিজ্ঞাসাও করিত না। কিশোরী দিদি বাটী আসিলেও কেহ সমাদরে বসিতে বলিত না। পাঠকবর্গের ইত্যগ্রেই জানা আছে নকড়ীর মাতার মুখে মিষ্ট কথা অতি বিরল। অতএব । নকড়ীর মাতা যে অধিকতর অনাদর করিবে তাহার আর বিচিত্র কি ? লোকে যে কিশোরী দিদিকে বিশেষ যত্ন করে না একথা কিশোরী দিদিও অবগত ছিলেন। কিন্তু প্রাজ্ঞলোকের ন্যায় কিশোরী দিদি তাহা কখনও মনে করিতেন না। বরঞ্চ স্বকাৰ্য্য সাধনার্থ এরূপ তোষামদ করিতেন যে লোকে ইচ্ছা না থাকা সত্বেও কেবল চক্ষুলজ্জার খাতিরে কিশোরী দিদি যাহা চাহিতেন তাহা দিত। কিশোরী দিদি কহিলেন “আহ নকড়ী বাড়ী নেই ? বড় আশা করে এসেছিলাম যে নকড়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। এমন0 ছেলে তো কখনও দেখি নি ? নকড়ীর মা, আমার ঝুঁকি নকড়ীকে দাদা বলে ডাকে তা জান ? নকড়ীর তাতে কত আহ্লাদ। বাছার আমার মুখে আর হাসি ধরে না” এই কথা বলিয়া কিঞ্চিৎ অগ্রসর হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “নকড়ীর মা কি কোরছে ? বাছুর ধরেছ? গাই দুচ্চে কে ? মঙ্গল বুঝি ? ও মঙ্গল ! কথা কোস নে যে ? আহ পেচো আমার একটু হ্রদ হ্রদ কোরে আমারে পাগল কোয়ে। কোথায় পাব ? এমন সংগতি নেই যে কিনে দি। বল্লাম ঋ তোর নকড়ী দাদার বাড়ী থেকে একটু হ্ৰদ নিয়ে আয়। কিন্তু বাছার আমার এমনি