পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পল্লীগানে বাঙ্গালী সভ্যতার ছাপ
১১

জপরে তার নামের মালা না হয় যেন ভুল
গাঁথ ঐ নাম আপন গলায়।
দূরে যারে দুঃখ জ্বালা
অন্ধকার হবে উজলা,
এই দুনিয়ার মূল
তুমি লায়লাহা ইল্লাল্লা বল,
ঐ আঁধার কাটে চক্ষু মেল,
এই ভবের হাটে ভুলনারে মহম্মদ রসুল।
নুহ্ অল ইস‍্‌বাত নফুয়াল নবি,
ও তোমার ফানা ফাল্লা যখন হবি,
মেছের শা কয় তবে হবি,
আল্লার মকবুল॥”[১]

  1. এই গানটি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হইয়াছিল। ইহাতে যে সমুদয় টীকা টিপ্পনী প্রদত্ত হইয়াছিল তাহাই ম্যাগাজিন ‘কর্ত্তৃপক্ষের’ অনুগ্রহে উদ্ধৃত করিতেছি। কর্ত্তৃপক্ষের’ সম্পাদক অধ্যাপক শ্রীযুত বনওয়ারী লাল বসু এম, এ, মহোদয়কে তজ্জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাইতেছি।

     (১) লায়ে লাহা ইল্লাল্লা- আল্লাহ ব্যতীত উপাস্য নাই।

     সাধনাকালে হিন্দুগুরু যেমন শিষ্যকে বিশ্বের সর্ব্বত্র “ওঁ” ধ্যান করিতে উপদেশ দেন, পীর সাহেবেরাও তেমনি ভিতরে বাহিরে এই কল‍্‌মা (মন্ত্র) জপ ও ধ্যান করিতে বলেন। প্রথমেই অবশ্য এই কল্‌মা জপ করা হয় না। প্রথম শুধু “আল্লাহ”—এই কথাটি মনে মুখে