পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
হারামণি

 বন্ধুবর মৌলবী রজব আলী সাহেব প্রদত্ত পাদটীকা হইতে ইহার সোজা মানে বোঝা যাইবে। সত্য উপলব্ধি করিলে যে ভাব মানস মন্দিরে জাগে, ঠিক সেই ভাব লইয়া ইহা লিখিত। ‘ঐ আঁধার কাটে চক্ষু মেল’—সেই উপলব্ধির উজ্জ্বল বর্ণনা আমাদের সামনে আনিয়া দেয়। সাধকের সাধনা সফল হইল—তিনি গভীর অন্ধকার রজনীর অবসান দেখিতেছেন—পূর্ব্ব আকাশে জ্যোতিঃ প্রকাশের পূর্ব্ব আভাষ পাইতেছেন। এই গানটি পল্লী সঙ্গীতের অত্যুজ্জ্বল মধ্যমণি।


    জপ করিতে হয়। যে নিয়মে এই সব ধ্যান করিতে হয়, তাহা অন্য কাহারও নিকট প্রকাশ নিষিদ্ধ।
     (২) নুহ্ অল ইস্‌বাত, ‘নফি ইস‍্‌বাত’ কথার অপভ্রংশ। ইহার ভাবার্থ ‘লায়েলাহা ইল্লাল্লা’ দ্বারা নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করা এবং কল্পনায় সেই অনাদি অনন্ত পরব্রহ্মের অসীম সৌন্দর্য্যময় অস্তিত্ব অনুভব করা।
     (৩) নফুয়াল নবি, ‘নফিয়ন্নবি’ শব্দের অপভ্রংশ। ইহার আর এক নাম “ফানাফির রসুল” অর্থাৎ রসূলোল্লার (হজরত মুহম্মদ দঃ) ধ্যান করিতে করিতে আত্মবিস্তৃত হইয়া সমগ্র জগতে শুধু তাঁহারই বিকাশ উপলব্ধি করা।
     (৪) ইসলাম ধর্ম্মমতে আধ্যাত্মিক জগতের পূর্ণ জ্ঞান লাভ করিতে হইলে ভক্তকে সাধনার তিনটি সিঁড়ি অতিক্রম করিতে হইবে। প্রথমতঃ “ফানাফিস্বেখ” বা আপন পীরের সহিত লয়প্রাপ্তি। সত্য সনাতন নিরাকার মহাপ্রভুর দর্শন লাভ আকাঙ্ক্ষায় অবশ্য পীরের ধ্যান