পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পল্লীগানে বাঙ্গালী সভ্যতার ছাপ
১৭

“মন তাঁতি কি বুনতে এলি তাঁত।
এসে প্রথমেই হারালি আত॥
ও-তোর শানায় সুতো মানায় না তোরে,
পোড়া পোড়েন হ’ল না জাত॥
করে আনাগোনা তানা কাড়ালি,
হায়, তুল্লি কি খেই হায়
ঘুচলো না খেই কোচ‍্কা পড়ালি॥
যত আনাগোনা যায় না গোনারে
হলো সকল তোর ভস্মসাৎ॥
পেয়ে এমন তানা জানলি আপন কিসে
তাই ভাবিরে, ভাবিরে মনের হুতাশন॥
এই যে বটনা টানা আর খাটে না রে;
যে তোর পাছ লেগেছে হয় বজ্জাৎ॥
যত আশা করি তুলতে গেলি ঝাপ
দিলি, এককালে চিরকালে, পাপ সলিলে ঝাপ।
ভেবেছিস্ এবার উঠবি আবার রে;
ক্রমে ক্রমে হল অধঃপাত॥
হাতে গলে সুতা জড়ালি কেবল।
এলে রবিসুত এ সব সুতো কোথায় রবে বল॥
ভক্ত নন্দসুত কই আশু ভোরে,
যদি খাবি দীন বাউলের ভাত॥”

 এই সমস্ত গানের মাধুর্য্য উপলব্ধি করিবার। গানের প্রভাব যে মানব মনের উপর কত বেশী তাহা না বলিলেও চলে। যখন এই সমস্ত গান গীত হয় তখন শ্রোতৃগণের মন