পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
হারামণি

বাঙ্গালী সভ্যতায় কলকব্জার আমদানী বেশী ছিল না, কাজেই ইংরেজ সভ্যতার বাহিরের দিকটাই পল্লীগানে বেশী দাগ কাটিয়াছে। আমাদের প্রাচীন সভ্যতার বাহিরের আসবাব-পত্র নৌকা, চরকা, প্রভৃতি ছিল সুতরাং এই সব লইয়া সুন্দর সুন্দর গান দেখিতে পাওয়া যায়।

 আমাদের ঘরের জিনিষ চরকা লইয়া সাধক কি আত্মতত্ত্বে উপস্থিত হইয়াছেন দেখা যাউক। সাধারণ নিজের মনকে লক্ষ্য করিয়া বলিতেছেন।

“যা যা তেল দিগে যা আপন চরকাতে।
ভোলা মন তুলিস্ না তুই কথাতে।
চরকার অষ্ট পাখী,
দুই ধারে দুই প্রধান খুটি,
মাঝখানে দুই চাকী
কত কালে ঘুরছে (রে মন)
চরকা ঘুরে কেবল মালের জোরেতে॥”

 এই চরকার সাথে বাঙ্গালীর কত সুখ দুঃখের কথাই না জড়িত রহিয়াছে!

 বাঙ্গালী সভ্যতার অন্যতম গৌরবের জিনিষ বিশ্ব বিখ্যাত ঢাকাই মসলিন যাহাতে তৈয়ারী হইত সেই তাঁত হইতেই বা সাধক কি আত্ম-তত্ত্ব লাভ করিয়াছেন, দেখা যাউক। মনকে সম্বোধন করিয়া কি বলিতেছেন শুনুন;