পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



পল্লীগানে বাঙ্গালী সভ্যতার ছাপ
২৩

প্রবণতার ছবি আমাদের সামনে ফুটিয়া উঠে। বাঙ্গালীর এখন ষে ব্যবসার নামে মনে আতঙ্ক উঠে পূর্ব্বে তাহা মোটেই ছিল ना।

“কও মন তুমি কিসের মহাজন।
করলে এতো দিন কি উপার্জ্জন।
যত বিলাত বাকী, মজুত বাকি করেছ কি নিরূপণ॥
আপন পাওনাটি বেশ বেশ দেখেছো হিসাবে।
কিন্তু দেনার বেলায়, পড়বে ঘোলায়
জ্বালায় প্রাণ যাবে॥
যে দিন হবে নিকেশ, রবে কোথায় এ ধন জন॥
ও কি বাঁকী সদায় করতেছো আদায়,
আসছে হাল তাগদায়, কাল পেয়াদায়,
ভাব্‌ছো‌ না সে দায়॥
তারে গোঁজা দিযে প্রবোধিয়ে,
পারবে কি ভোলাতে
ওরে বস্তা ভরে করছো কিরে মাপ।
পরের ওজন কমি, ধরছো তুমি,
লয়ে দু’জন মুটে, লুটে পুটে,
সারলো সে মোকাম॥
যবে আর কি ছিল মাল, সব দিয়েছো বিসর্জ্জন।
ছি ছি মহাজনী কর্ম্ম নয় এমন।
এদীন বাউল তার কি টলে, তুচ্ছ লোভে মন॥
ভবে সেই মহাজন করে যে জন শ্রীহরির চরণ ভজন॥