পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
হারামণি

 বাউলের এক তারার সাথে খোলা মিঠে গলায় কি সুন্দর সুর শোনা যায় তা অনুভব করিবার, বুঝাইবার নহে। সুর ছাড়া গান, প্রাণ ছাড়া দেহ।

 বাঙ্গালী যে ঘরে থাকে সে ঘর সম্বন্ধে কিছু বলা হয় নাই। এইখানে সেই ধরণের একটী গান তুলিয়া দিতেছি।

“চার পোতায় এক ঘর বেঁধেছে ঘরামির নাম সৃষ্টিধর।
আড়ে ‘দীঘে’ একই প্রমাণ ঠিক সমান সে ঘর॥
ঢাকা ঘরের মধ্যস্থল, মুর্শিদাবাদ সদর মোকাম,
কত গলি শোন বলি, চোষট্টি গলি চার বাজার॥
কানা কালা বোবারই কারবার, দেখে শঙ্কা হয় আমার
চার বাজারে চার দোকানদার করতেছে কারবার এসে॥
দোকান মাথায় লয়ে চলে যায় কানা দেখে হাসে।[১]
কানার জিনিষ কিনে বোবা ডাকে মালের মূল্য নিসে॥
কানা কালা খেলেছে খেলা, খেলছে নিশি দিবসে,
সংসারে অসার তারাই রসে আমি ভাব্যা পাইনা দিশে॥
সেই ঘরে বসত করে জনমভরা একজনা,
চক্ষু নাই মুখ আছে কর্ণ দুটি কালা
নাকে না শোঁকে, চোখে না দেখে কানে না শোনে ক্ষ্যামতা
আমি অবিশ্বাসী ঈছ, সাধু জানে তা।
ছিল ঘরের আজ্ঞাকারী, “পিরভুয়ারী সবে মাখা” (?)

  1. গোরক্ষ বিজয় (পৃ: ১৩৭-৩৮)