ত্রিগুণরহস্ত । \כיס “যেমন চোক তেমি আলো জুড়ি মিলিয়াছে ভালো।” তাহা তো তুমি বলিবেই ; কিন্তু তোমার ,তখনকার সে অৱস্থায় তুমি দেখিতে যে কিরূপ দৃষ্ঠ—সেইটিই জিজ্ঞাস্ত। অন্ধের নিকটে যেমন দিবা-রাত্রি দুইই সমান, তোমার সে অবস্থায় তোমার নিকটে তেমি আলোক অন্ধকার দুইই সমান হইত। কোনো পাগল যদি চুনকাম-কর ধ্রুবৃন্ধবে প্রাচীরের গায়ে শাদ খড়ি দিয়া বাড়ীর নম্বর দাগে, তাহা হইলে যেমন শাদায় শাদা ডুবিয়া মরে, তৈরি তোমার সে-অবস্থার চক্ষের সামনে আলো’য় আলো ডুবিয়া মরিত—আলোকের কণামাত্রও তোমার চক্ষুরিল্লিয়ের ভোগে আসিত না। তাহ হইলে ফলে দাড়াইত এই যে, তুমি চক্ষু থাকিতেও অন্ধ, আর, জগৎসংসার আলোকের মাঝখানে থাকিয়াও অন্ধকার। অতএব এটা স্থির যে, প্রকাশের সঙ্গে কোনে-না-কোনো অংশে অপ্রকাশের অঞ্জন বা. বি প্রকাশের রঞ্জন লাগিয়া থাকা চাই-ই-চাই, তা নহিলে প্রকাশের প্রকাশন্ত্র রক্ষা পাইতে পারে না । দ্বিতীয় দ্রষ্টব্য এই যে, বিহিত প্রকরণ-পদ্ধতির সোপান না মাড়াইয়া কোনো বিষয়ই অপ্রকাশ হইতে প্রকাশে সমুখান করিতে পারে না। তুমি যদি কিলাইয়া কঁঠাল পাকাইতে যাও, তবে কিছুতেই তাহ পারিয়া উঠিবে না। কিরূপ প্রক্রিয়ার যোগ-সাযোগে কাঠাল পাকাইতে হয়—কাঠালগাছই তাহ জানে, আর, সেইজন্য তাহারই তাহা কাজ। সব গুণই যেমন ক্রিয়া’র ফল (সংক্ষেপে—কৰ্ম্মফল ), প্রকাশ এবং অপ্রকাশ গুণও তাই। যাহা প্রকাশ হয়, তাহ ক্রিয়াযোগেই প্রকাশ হয় ; যাহা অপ্রকাশ হয়, তাহ কৰ্ম্মোন্তম গুট্রাইয়াই অপ্রকাশ হয়। প্রকাশিতব্য বিষয়ের আপাদমস্তক সবটাই যদি এক উন্থমেই প্রকাশ পাইয়া
পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫
অবয়ব