পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 হারামণির অন্বেষণ । তাহা অপেক্ষাকৃত কম। তেমি আবার, কোনো অন্ধকার অপেক্ষাকৃত বেণী নিবিড়, কোনো অন্ধকার অপেক্ষাকৃত কম নিবিড় । এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, আলোকের মধ্যেও মাত্রাবিশেষে অন্ধকার এবং গতি রহিয়াছে; তথৈব, অন্ধকারের মধ্যেও আলোক রহিয়াছে, আর, আলোক যখন রহিয়াছে তখন গতিও রহিয়াছে। গতিক্রিয়া আবার, জড়বস্তুর আশ্রয় ছাড়িয়া একমুহূৰ্ত্তও স্বতন্ত্র থাকিতে পারে না কাজেই বলিতে হয় যে, গতিক্রিয়ার মধ্যেও নুনাধিক পরিমাণে জড়তা বৰ্ত্তমান। উত্তাপও আবার গতিক্রিয়ার সঙ্গের সঙ্গী। শৈত্য যেমন-বস্তুসকলের জড়তা’র নিদান, উত্তাপ তেমনি বস্তুসকলের জড়তা'র প্রতিহস্ত। তা ছাড়া, উত্তাপ আলোকের কনিষ্ঠ-সহোদর। আলোক এবং উত্তাপ, দুইই প্রকাশধৰ্ম্মী ; প্রভেদ কেবল এই যে, আলোক দৃষ্টিক্ষেত্রে প্রকাশলাভ করে, উত্তাপ স্পর্শক্ষেত্রে প্রকাশলাভ করে। ফলে, গতির সঙ্গে জড়তা এবং জড়বিরোধিতা, শৈত্য এবং উত্তাপ, দুইই নুনাধিকপরিমাণে জড়িত থাকে। দ্বিতীয দ্রষ্টব্য এই যে, প্রকাশ গুণের প্রাদুর্ভাবকালে প্রকাশ গুণ নিজেও প্রকাশ পায়, আর, সেই সঙ্গে ক্রিয়াগুণ এবং বাধাগুণ, যাহা পূর্বে অপ্রকাশ ছিল, তাহাও প্রকাশ পায় ; প্রকাশের ই।াপায় পড়িয়া অপ্রকাশ ও প্রকাশ পায়। তার সাক্ষী—জাগরণকালে, জাগরণ যে কিরূপ, তাহাও প্রকাশ পায় আর সেই সঙ্গে সুপ্তি যে কিরূপ, তাহাও প্রকাশ পায় ; পক্ষান্তরে সুপ্তিকালে জাগরণও প্রকাশ পায় না, সুপ্তি ও প্রকাশ পায় না। এইজন্ত, ত্রিগুণের সমবেত কাৰ্য্যকারিতা যে কিরূপ, তাহার সন্ধান পাইতে হইলে সত্ত্বগুণের প্রকাশক্ষেত্রেই অনুসন্ধােন চালনা করা কৰ্ত্তব্য। তৃতীয় দ্রষ্টব্য এই যে, বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতেরা যাহাকে বলেন