পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বন্দ্বরহস্ত । Q (t தடித்துவித்துங்தில் சிங்க் এই দ্বন্দ্ররহস্তের মধ্য হইতে অতীব একটি নিগুঢ় তত্বের সন্ধান পাওয়া যাইতেছে এই যে, এক হাতে তালি বাজে না ; ফাক একত্ব বা ইংরাজিতে যাহাকে বলে ছিন্ন সত্তা (abstråct entity) তাহ কোনো কার্যেরই নহে ; তার সাক্ষী—তোমার এই যে গানকার্য এ কার্য্যের কারণ কে ? গায়ক না শ্রোতা ? কারণ যে কে—তাহা দেখিতেই পাওয়া যাইতেছে। ফলেন পরিচয়তে। তোমার কাণে যদি তালা-লাগিয়া যায়, তাহা হইলে শ্রোতার অভাবে তোমার গানকার্য তৎক্ষণাং বন্ধ হইয়া যাইবে ; আবার, শ্লেষ্মার আক্রমণে তোমার যদি গলা বুজিয়া যায়, তাহা হইলে গায়কের অভাবে তোমার গানকার্য্যের বিপত্তি ঘটিবেতেন্নিই বা ততোধিক । তবেই হইতেছে যে, তোমার গানকার্যের কারণ আকা কেবল গায়ক না—অ্যাক কেবল শ্রোতা ন!—পরন্থ গায়ক এবং শ্রোতার হরিহরাত্মা-ভাবই তোমার জ্ঞানকার্য্যের কারণ । জগৎকার্য্যের কারণ তেমি পুরুষনিরপেক্ষা উদাসিনী প্রকৃতি ও না এবং প্রকৃতিনিরপেক্ষ উদাসীন পুরুষ ও না ; পরন্তু প্রকৃতিপুরুষের একাত্মভাবের আনন্দই জগংকার্গোর কারণ, আর, সেই আনন্দই স্মৃষ্টি স্থিতি প্রলয়ের মূলাধার। বেদোপনিষদে স্পষ্টই লেখা আছে যে, আনন্দাদ্ধোব খম্বিমানি ভূতানি জায়ন্তে, আনন্দেন জাতানি জীবস্তি, আনন্দং প্রয়স্তাভিসংবিশন্তি। আনন্দ হইতেই ভূত সকল উৎপন্ন হইতেছে ; উৎপন্ন হইয়া আনন্দেরই গুণে বাচিয়া থাকিতেছে ; এবং জীবনাবসানে আনন্দেরই মধ্যে প্রবেশ করিতেছে। ৷ ২ ৷ আমার এইরূপ ধারণা যে, জগৎকার্যোর গোড়া’র কথা বুদ্ধিমনের অগোচর । ১। ভূমি যাহা বলিত্ত্বেছ—উপনিষদের ঐ বচনটির পর-ছত্রেই তাহা লেখা আছে; তাহা এই যে, “যতে বাচো নিবৰ্ত্তস্তে অপ্রাপ্য