পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বন্দ্বরহস্ত । ¢ ዓ సౌల******* প্রাণ প্রাণই কেবল; এ দুটা তাই মুনিৰ্ব্বচনীয়। পরন্তু প্রতিভাশালী মহাত্মাদিগের প্রাণই জ্ঞান, জ্ঞানই প্রাণ ; শক্তিই ইচ্ছা, ইচ্ছাই শক্তি ; বাসনাই ঈশনা, ঈশনাই বাসনা ; চাওয়াই পাওয়া ; পাওয়াই চাওয়া ; কাজেই অনিৰ্ব্বচনীয়। কবির কবিতা বাহির হয় কোথা হইতে কখন তাহ বলিব শুনিব ? মানসসরোবরের সমাধি-উপদ্বীপে হৃৎপদ্মিনীর ধারে যখন কবির বাসন এবং ঈশন, প্রকৃতি এবং পুরুষকার প্রাণের চাওয়া এবং জ্ঞানের পাওয়া, একত্নে মিলিয়া দুয়ে এক-একেদুই হয়, তখনই আনন্দের ফোয়ার খুলিয়া যায়, আর, সেই আনন্দের ফোয়ারা হইতে কবিতা উচ্ছসিত হইতে থাকে। কবির চিদাকাশে এ-যেমন দেখিতে পাওয়া গেল, সার্বভৌমিক মহাকাশে তেমনি আনন্দের উৎস আছে। সে আনন্দ বুদ্ধিমনের অগোচর অনির্বিচনীয় ; তাহা মহা প্রকৃতি এবং মহান পুৰুষের একাত্মভাবের অটল গম্ভীর এবং মহান আনন্দ । সেই ; মহানন্দের উৎস হইতে নিখিল বিশ্বভুবন উচ্ছসিত হইতেছে। পলকে পলকে, নিশ্বাসেপ্রশ্বাসে, অহোরাত্রে, পক্ষে পক্ষে, অব্দে অব্দে, সুগে যুগে স্বষ্টিস্থিতি-প্রলয় হইতেছে । ৷ ২ ৷ এ যেন বুঝিলাম যে, হুষ্টিস্থিতি আনন্দেরই ব্যাপার । কিন্তু প্রলয় কিরূপ? প্রলয় ও কি তাই –প্রণয় ও কি আনন্দের ব্যাপার ? ৷ ১ ৷ স্বষ্টি স্থিতি প্রলয় তিনে এক-একেতিন । যাহাকে তুমি বলিতেছ শরীরের কান্তি পুষ্ট এবং স্থিতি, তাহার মধ্য হইতে স্বষ্টি এবং প্রলয়ের ব্যাপার ছটাকে (দৈহিক উপকরণ সামগ্ৰীৱউপচয় এবং অপচয়ের ঝাপার দুটা’কে ) বহিষ্কৃত করিয়া দিয়া কতক্ষণ তুমি স্থিতিটাকে স্বপদে দণ্ডায়মান রাখিতে পারো তাহ