পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রশ্নোত্তর । (t আর, তুমি যে সত্যের প্রকাশ নয়ন ভরিয়া পান করিয়া প্রত্যহ পুনর্জন্ম লাভ করিতেছ, ইহার অবশুই কোনো-না-কোনো নিগুঢ় কুারণ আছে—নহিলে সত্যই বা তোমার কে, অীর, তুমিই বা সত্যের কে যে, তুমি সত্যের দেখা না পাইলে তোমার মঙ্গল নাই, আর, সত্য তোমাকে দেখা না দিলে তাহার নিস্তার নাই। কেমন করিয়া বলিব যে, তুমি সত্যের কেহই না বা সত্য তোমার কেহই ন। তুমি তো আর অসত্য নহ। তুমি যে আমার চক্ষের সম্মুখে সত্য দেদীপ্যমান! তুমি যদি অসত্য হইতে, তবে তোমাকে কে বা পুছিত ? তুমি সত্য বলিয়াই সত্য তোমার নিকটে প্রকাশিত হইতেছেন ; সত্য সত্যেরই নিকটে প্রকাশিত হইতেছেন—পরের নিকটে না। অতএব এটা স্থির যে তোমার নিকটেই হো’ক্‌, আমার নিকটেই হো’ক্‌, আর তৃতীয় যে-কোনো ব্যক্তির নিকটেই হো’ক যাহারই নিকটে সত্য প্রকাশ পান—প্রকাশ পা’ন তিনি সত্যেরই নিকটে—আপনারই নিকটে। সত্যের এই যে আপনার নিকটে আপনার প্রকাশ, ইহারই নাম আপনাকে আপনি পাওয়া । কেন না, সত্যের প্রকাশেরই নাম সত্যের উপলব্ধি, আর, তাহারই নাম সত্যকে পাওয়া। আপনাকেআপনি পাওয়া কিরূপ, তাহা দেখিলাম, এখন আপনাকে-আপনিচাওয়া কিরূপ, তাহা দেখা যাক। আপনার প্রকাশে যখন আপনার প্রতি আপনার দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়, তখন আপনার প্রতি আপনার দৃষ্টির সেই ষে প্রসক্তি, তাহ শুধুই কি কেবল চক্ষের চাওয়া ? উদাসীন পরিব্রাজক পাশ্বস্থ পুরস্বামীর প্রতি যে-ভাবে মুহূৰ্ত্তেক চাহিয়া আপনার গন্তব্যপথ অনুসরণ করেন, উহা কি সেইভাবের চাওয়া ? সত্য কি আপনার নিকটে আপনি কোথাকার কোন