পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

制 বিবাহ । RNOY) বলিয়া বুঝেন এবং পত্নীর সহধৰ্ম্মিনী নামু সার্থক হয় পত্নীর’ সহিত এমনি করিয়া জীবন যাত্রা নিৰ্বাহ করিয়া থাকেন। আর পত্নীর সহিত একত্বানুভূতি, ইহাও তাঁহাদের অনেকের থাকে। কিন্তু অনেকের আবার এ উদ্দেশ্য ও একত্ববোধ নাই । নাই বলিয়া কিন্তু ঐ উদ্দেশ্য মন্দ হইতে পারে না অথবা, এই একত্বজ্ঞান দূষনীয় হইতে পাবে না। অনেৰ্কে ধৰ্ম্ম মানে না বলিয়া ধৰ্ম্ম মন্দ জিনিষ হইতে পারে না। অনেক ইংরাজিওয়ালা কিন্তু তাঁহাই মনে করেন। বিবাহ বিষয়ক এই প্ৰস্তাৰ প্ৰথম প্ৰকাশিত হইলে পর অনেকে ইচ্ছার যে প্ৰকার সমালোচনা করিয়াছিলেন তাহাতে তাহান্দুের মনের ঐ রূপ ভাবই ব্যক্তি হইয়াছিল। হিন্দু বিবাহের যে উদ্দেশ্যের ব্যাখ্যা করিয়াছি তাহার প্রতি লক্ষ্য করিয়া তাহারা বিস্তর ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করিয়াছিলেন। পতিপত্নীর একীকরণের কথা লইয়াও সেই রূপ কািরয়াছিলেন। যেন ধৰ্ম্মচৰ্য্যাৰ্থ বিবাহ ও পতি পত্নীর একীকরণ বড়ই দূষণীয়া! জ্ঞানী ও সাধু লোকে এরূপ করেন না । লোকে যাহাতে বিবাহের প্রকৃত অর্থ হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে এবং বিবাহের মহৎ উদ্দেশ্য অনুসরণ করিতে শিখে, তাহারা সেই চেষ্টা কৰিয়া থাকেন, তাহদের মনে সেই কামনাই প্ৰবল হয়। কিন্তু যে সকল সমালোচনার উল্লেখ করিলাম তদ্বিষয়ে অধিক কথা অনাবশ্যক। রবীন্দ্র বাবু ভারতীতে একটি সমালোচনা লিখিয়াছিলেন। তদুপলক্ষে বিবাহ বিষয়ক কতকগুলি প্রয়োজনীয় কথার কিছু বিস্তৃত ব্যাখ্যার আবশ্যক হইয়াছিল। রবীন্দ্র বাবুর সমালোচনায় যে সকলু কথা ছিল তন্মধ্যে কয়েকটা মাত্র এখানে উল্লেখ করিলাম:-