পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RG:br श्मूि, .. --SumitaBot (আলাপ) সা সীতামঙ্কমুরৌপ্য ভর্তুগুণিহিতেক্ষণাম। মামেতি ব্যাহরত্যেব তস্মিন পাতালমভ্যাগাৎ ৷ তখন সীতার নয়নদ্বয় পতির প্রতি স্থিরীকৃত, বসুন্ধরা সীতাকে ক্ৰোড়ে লইলেন, এবং রাম, “না।” “না।” ইহা বলিতে না বলিতেই রসাতলে প্ৰবেশ করিলেন । , তখনও সীতার নয়নদ্বয় পতির প্রতি স্থিরীকৃত !— বল দেখি, “পতিভক্তির এমন চিত্র, পতিভক্তির এমন ভাব আমাদের বাহার মনে আছে ? এ কি কম শিক্ষা ? এ শিক্ষাব বলে একটা মানুষ কি আর " একটা মানুষ হইয়া যায় না ? প্রতিভা কি মানুষ গড়ে না ? আবার বল দেখি, প্ৰতিভাশালা কবি যে চিত্র অ্যাকিলেন, " প্ৰতিভাশালী চিত্রকর যদি সেই চিত্ৰ পটে ফুটাইতে পারেন, তাহা হইলে সেই পটই বা কি অপরূপ অপূৰ্ব্ব কাব্য হইয়া পড়ে, সে পটেই বা কত अभूला শিক্ষালাভ হয় । কাব্য অপেক্ষা চিত্র অনেক সময়ে, অনেক স্থলে এবং অনেকের পক্ষে শিক্ষা স্বম্বন্ধে বেশী উপযোগী। কেন না। কাব্য শব্দরচিত ; শব্দ সঙ্কেত মাত্র, অতএব কাব্য বুঝিয়া লাইতে হয় ; চিত্র শরীরী, অতএব চক্ষু মেলিয়া দেখিলেই হয় । কাব্যে অনেক জিনিষ বুঝান যায় না, বা বুঝান সহজ হয় না,- যেমন হৃদয়ের অবস্থাদিশেষে দেহের মূৰ্ত্তিবিশেষ ; চিত্রে তাহা সহজেই বুঝান যায়। কবি বলিয়া দিলেন-তখনও সীতার নয়নদ্বয় পতির প্রতি স্থিরীকৃত। ইহাতে পতিভক্তির তুমি একটি অপূৰ্ব আভাস পাইলে। কিন্তু তখন সীতার সেই মুখের, সেই নয়নের কিরূপ ভাব কবি তাহা ফুটাইয়া দিতে অক্ষম। কিন্তু ঠাহ চিত্রিত দেখিলে পতিভক্তির মানসিক মূৰ্ত্তি