পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্মের নবজাগরণ ক্ষত্রিয়গণই ভারতে একমাত্র শক্তিসম্পন্ন জাতি ছিলেন, যাহার। ব্রাহ্মণগণের আধ্যাত্মিক অত্যাচার ও লোকগণকে বন্ধন করিবার জন্য র্তাহারা যে ক্রমবৰ্দ্ধমান নূতন নূতন ক্রিয়াকাণ্ড প্রবেশ করাইতেছিলেন, তাহার বিরুদ্ধে চেষ্টা করিয়া কিয়ৎপরিমাণে কৃতকাৰ্য হইয়াছিলেন । -- উভয় জাতির এই সংঘর্ষ অতি প্রাচীন কাল হইতেই আরম্ভ হইয়াছিল। সমুদয় শ্রুতির ভিতরেই ইহা অতি সুস্পষ্টভাবে লক্ষিত হইতে পারে। এক মুহূর্তের জন্য এই বিরোধ মন্দীভূত হইল, যখন ক্ষত্রিয়দল ও জ্ঞানকাণ্ডের নেতা শ্ৰীকৃষ্ণ উভয় দলের সামঞ্জস্য কিরূপে হইতে পারে, দেখাইয়া দিলেন । তাহার ফল গীতার শিক্ষা, যাহ। ধৰ্ম্ম, দর্শন ও উদারতার সারস্বরূপ । কিন্তু বিরোধের কারণ তখনও বৰ্ত্তমান ছিল সুতরাং তাহার ফল অবশ্যম্ভাবী । সাধারণ দরিদ্র মুখ প্রজার উপর প্রভুত্ব করিবার উচ্চাকাঙক্ষণ পূর্বোক্ত দুই জাতিরই বৰ্ত্তমান ছিল সুতরাং আবার প্রবলভাবে বিরোধ জাগিয়া উঠিল । আমরা সেই সময়কার যৎসামান্য সাহিত্য যাহা প্রাপ্ত হই, তাহ সেই প্রাচীনকালের প্রবল বিরোধের ক্ষীণ প্রতিধ্বনি মাত্র কিন্তু অবশেষে ক্ষত্রিয়ের জয় । হইল, জ্ঞানের জয় হইল, স্বাধীনতার জয় হইল আর 6.8