[ :२. } ` कुंठैश्चानिशं ऊँऊ ंक्षाःघ्। অন্যত্রাস্মাৎ কৃতারু তাণ্ড । তিনি এই কাৰ্য্য-কারণবিশিষ্ট জগৎ হইতে ভিন্ন। শুক্ল যজুৰ্ব্বেদ সংহিতাতে উক্ত আছে। ন তং বিদাথ যইমা জজানান্য যুষ্মকান্তরং বভূব । উহাকে তোমরা জান না যিনি এই সকল স্কটি করিয়াছেন । তিনি যে এ সকল হইতে ভিন্ন হইয়াও তোমারদিগের অন্তরে স্থিতি করিতেছেন । এইরূপ প্রধান প্রধান হিন্দু শাস্ত্রোক্ত বচন দ্বারা যেমন প্রতিপন্ন হয় যে, পরমাত্মা হইতে জীবাত্মা ও জগৎ ভিন্ন, তেমনি হিন্দুদিগের ব্যবহার দ্বারাও প্রতিপন্ন হয় যে সাধারণ হিন্দুবর্গের বিশ্বাস এই যে ব্রহ্ম সমস্ত বস্তু হইতে ভিন্ন। সমস্ত হিন্দুর বিবিধ প্রকারে সেই পরব্রহ্মের উপাসনা করিয়া থাকেন, যিনি উপাস্য তিনি অবশ্যই উপাসক হইতে ভিন্ন। যখন হিন্দুরা ঈশ্বরের উপাসনা করিয়া থাকেন, তখন ঈশ্বর এবং মনুষ্য এক ইহা তাঙ্গর কখনই কার্যতঃ বিশ্বাস করেন না, ইহা স্পষ্ট প্রতীত হইতেছে। বেদান্ত-দর্শনে এই অদ্বৈতবাদ প্রাপ্ত হওয়া যায়। এই বেদন্ত-দর্শন শঙ্করাচার্য প্রণীত বেদীপ্তসুত্রের ভাষ্য বুঝায়, নিজ বেদান্তসূত্র বুঝায় না ; যেহেতু শঙ্করাচার্য যেমন বেদান্তসুত্র অদ্বৈত কম্পে ব্যাখ্যা করিয়াছেন, রামানুজস্বামী তেমনি দ্বৈতকপে ব্যাখ্যা করিয়াছেন। অতএব উপনিষদের কথা দূরে থাকুক বেদন্তিস্থ ক্রও যে অদ্বৈতবাদাত্মক শাস্ত্র তাহ প্রমাণ হয়