[ ९8 ] এই ভাব সমস্ত হিন্দুধর্মে রক্ষিত হইয়াছে। শাস্ত্রে অত্যুক্তিস্থলে কোন দেবতা অথবা দেবাবতারকে পূর্ণ ব্রহ্ম বলিয়া উক্ত হইয়াছে কিন্তু হিন্দু শাস্ত্রের কোন স্থানে এমন উল্লেখ নাই, যে নিরাকার নিৰ্ব্বিকার পরব্রহ্ম মনুষ্য উদরে জন্মগ্রহণ ও মানব আকার ধারণ করিয়াছিলেন । তৃতীয়তঃ। হিন্দ, ধৰ্ম্ম কোন মধ্যবর্তী অর্থাৎ পেয়গম্বর স্বীকার করে না। খ্রীস্টানের যেমন প্রত্যেক প্রার্থনার শেষে, “Through Jesus Christ on Lord and Saviour" “o 3 পরিত্রাতা ইশু দ্বারা তুমি আমাকে পরিত্রাণ কর’ বলে হিদুর সে প্রকার বলেন না। নবি অর্থাৎ পেয়গম্বরে বিশ্বাস শেমীয় *, ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের মধ্যে অর্থাৎ য়িহুদী, भूकेि ज्ञान ও মুসলমান ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের মধ্যে প্রচলিত আছে । পেয়গম্বরে বিশ্বাস ঐ সকল ধর্মের বিশেষ লক্ষণ। একটা বিশেষ ব্যক্তি মাত্র অামারদিগকে ঈশ্বরের নিকট লইয়! যাইতে পারেন, তিনিই ঈশ্বরের নিকট যাইবার এক মাত্র পথ, এরূপ ব্যক্তিকে পেয়গম্বর বলে। এরূপ ব্যক্তিকে ঈশ্বর ও আপনি এই দুয়ের মধ্যে রাখিয়া ঈশ্বরকে উপাসনা করিবার রীতি হিন্দুদিগের মধ্যে নাই। “ মসলমানেরা এক ঈশ্বরের উপাসনা করিতে উপদেশ দেয় কিন্তু বলে তাহার সঙ্গে সঙ্গে মহম্মদকে না মানিলে মুক্তিলাভ হইবে না। কেহ ঈশ্বরের শরণাপন্ন হইলেও মহম্মদের অনুমোদন ব্যতীত ঈশ্বর উহাকে ং ঐসকল ধৰ্ম্ম শেম বংশোদ্ভব জাতির মধ্যে উদিত হইয়াছিল । এইজন্য এখানে তাগদিগকে শেনীয়ধৰ্ম্ম বলিয়া ডাক হইল। ইহুদি ও আরবের ঐ বংশোস্তব জাতি ।
