পাতা:হিন্দুধর্ম্মের শ্রেষ্ঠতা.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २.५ ] মুক্তি দিতে পরিবেন না। মৃত্যুর পর শেষ বিচারের দিন মহম্মদ বলিবেন, আমি ইহাকে চিনি না, ঈশ্বর অমনি তাহাকে নরকে নিক্ষিপ্ত করবেন। খৃষ্টিয়ানদিগের মধ্যেতেও কেই কেবল ঈশ্বরকে আরাধনা করিলে মুক্তিলাভ করিতে পরিবে ন, খৃষ্টকেও মান চাই। এক ব্যক্তি বলিলেন আমি ঈশ্বরের সমুদায় আজ্ঞা পালন করিয়াছি,আমার উদ্ধার হইবে কি না ? খৃষ্টানদিগের মতে তাহার মুক্তি হইবে না,৭খৃষ্টকে ন মানিলে ঈশ্বর মুক্তি দিবেন না” কিন্তু আমারদিগের শাস্ত্রকারের কেবল ব্রহ্মজ্ঞানকে মুক্তির কারণ বলিয়া নিদেশ করিয়া গিয়াছেন ; মুক্তিলাভ জন্য কোন মধ্যবৰ্ত্তীর উপাসন। আবশ্যক করে না | • চতুর্থত: আর একটা বিষয়ে হিন্দু ধৰ্ম্ম অন্যান্য ধৰ্ম্মাপেক্ষ শ্রেষ্ঠ । তাহ এই, ইহাতে ঈশ্বরকে হৃদয়স্থিত জানিয়া উপাসনা করিবার উপদেশ আছে। কি বাইবল,কি কোরাণ, কি আর কোন ধৰ্ম্ম শাস্ত্র, কোথাও এরূপ উপদেশ প্রাপ্ত হওয়া যায় না। এইটা হিন্দুধর্মের প্রধান গৌরব স্থল। ’ ঈশ্বরকে হৃদয়স্থিত করিয়া দেখিলে ঈশ্বরকে যেমন নিকট করিয়া দেখা হয় তেমন অন্য প্রকারে দেখা হয় না । পঞ্চম তঃ । হিন্দু ধৰ্ম্ম অন্যান্য ধৰ্ম্ম অপেক্ষ এই বিষয়ে শ্রেষ্ঠ যে ইহাতে ঈশ্বরের সহিত যোগের উপদেশ আছে । যোগের বিষয় হিন্দু শাস্ত্রে যেমন পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে বিচারিত, নিয়মিত, ও ব্যাখ্যাত হইয়াছে,এমন আর কোন জাতির ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে দেখিতে পাওয়া যায় না। আমি সে যোগের কথা তত্ববোধিনী পত্রিকা,৩৩০ সংখ্যা। -