পাতা:হিন্দুধর্ম্মের শ্রেষ্ঠতা.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २७ ] বলিতেছি না যাহাতে সংসার ত্যাগ করিয়া বনে যাইতে হয়। যে যোগ সংসারে থাকিয়া হয়, তাহাই শ্রেষ্ঠ যোগ। হিন্দুশাস্ত্রের এক স্থানে এই প্রকার যোগের একটা সুন্দর উপমা আছে । পুঙ্খানুপু বিষয়েম্ব তৎপরোপি । ধীরোন মুঞ্চতি মুকুন্দপদারবিন্দং ॥ সঙ্গীতসৃত্যকতিতানবশংগতাপি । মৌলিস্থ কুম্ভপরিরক্ষণধর্মটীৰ । বিশ্বনাথ চক্ৰবৰ্ত্তীর্ণ কৃত ভাগবতের টাকা । যেমন সুধীর। নট সঙ্গীত, নৃত্য ও কত প্রকার তানের বশবৰ্ত্তীর্ণ হইয়াও মস্তকস্থিত কুম্ভ পতিত হইতে দেয় না, তদ্রুপ ধীর ব্যক্তি পুখানুপুস্বরূপে বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দিয়াও মুক্তিদাতা ঈশ্বরের পদারবিন্দ পরিত্যাগ করেন না । এ বিষয়ে একটা চমৎকার গল্প হিন্দুসমাজ মধ্যে প্রচলিত আছে। ব্যাসপুত্র শুকদেব পিতার নিকট ব্রহ্মজ্ঞানের উপদেশ প্রার্থনা করাতে, ব্যাস উত্তর করিলেন, তুমি রাজৰি জনকের নিকটে যাও, তাহার নিকট হইতে এ বিষয়ে উত্তম উপদেশ পাইবে । শুকদেব জনকালয়ে উপস্থিত হইলেন কিন্তু জনককে ঐশ্বৰ্য্যসম্ভোগী ও রাজ কার্য্যে অত্যন্ত ব্যস্ত দেখিয়া বিরক্ত হইলেন। তিনি মনে মনে চিন্তা করিলেন এমন বিষয়ী ব্যক্তি কিরূপে আমাকে ব্ৰহ্মজ্ঞানের উপদেশ দিবেন। জনক র্তাহার মনোগত ভাব জানিতে পারিয়া যথোচিত অভ্যর্থন পূৰ্ব্বক একটা তৈলপূর্ণ পাত্র তাহার হস্তে প্রদান করিয়া বলিলেন এই তৈল পাত্র হস্তে লইয়া তুমি সমস্ত নগর