[ q > || পারে। ভারত সমুদ্রে যেমন কত রত্ব রহিয়া:ছ তাহীর ইয়ত্ত। করা যায় না, সেইরূপ হিন্দু ধৰ্ম্মে কন্তু সত্যরত্ব নিহিত রছিয়াছে,তাহ বলিয়া শেষ করা যায় না। ধর্মের নিমিত্ত হিন্দু দিগকে অন্য কোথাও যাইতে হয় না। এবিষয়ে শ্রদ্ধাস্পদ সভাপতি মহাশয় উাহার এক গ্রন্থে যাহা বলিয়াছেন, তাহ এখানে উদ্ধত করিতেছি । “ব্রহ্মবিৎ ও ব্রহ্মবাদী হইবার জন্য দেশ বিশেষ কি কাল বিশেষ কি জাতি বিশেষের অপেক্ষ নাই। সকল দেশীয় ব্রহ্মবাদীদিগেরই ব্রহ্ম বিষয়ে উপদেশ দিবার অধিকার আছে । ভারতবর্ষের পূর্বতন ব্রহ্মবাদীদিগের জ্ঞানরত্বে আমাদের অধিকার। আমরা ধৰ্ম্ম বিষয়ে পৈতৃক ধনে ধনী; সেই ধন আমাদের পরম ধন, তাহা আমরা আমাদের পিতৃপুরুষ হইতে অপর্যাপ্ত লাভ করিয়াছি; তাহ অন্য কোন জাতির নিকট হইতে ভিক্ষা করিতে হইবে না । এই ভারতবৰ্ষ ধৰ্ম্মের আদিম স্থান। বৈদিক ধর্মের ন্যায় পুরাতন ধৰ্ম্ম আর কোন দেশে আর কোন জাতিতে নাই। পৃথিবীতে প্রথম বৈদিক ধর্মেরই আবির্ভাব। ঋষিদিগের সরল সাধু হৃদয় হইতে যে অনিৰ্দেশ্য পুরাকালে বেদমুক্ত সকল বিনির্গত হইয়াছিল, সে কালে আর সকল দেশ অজ্ঞানীন্ধকারে আবৃত ছিল। ছন্দের রচনা প্রথমতঃ এই ভারতবধেই হয় এবং সেই পবিত্র রচনাধৰ্ম্মফলদাতা ঈশ্বরের চরণে অপিত হয়। ঈশ্বর ভারতভূমি ধর্মের আকারস্থান করিয়াছেন ; তাহার অগণ্য বুত্বরাজী এখনো নিঃশেষিত হয় নাই। যেমন উত্তর হিমালয় ভারতভুমির, যেমন দক্ষিণ সাগর ভারতভুমির, যেমন গঙ্গানা ভারতভূমির
