পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভরণপোষণ צס\ל (৩) অবিবাহিত কন্যা । কন্যার বিবাহ না হওয়া পৰ্য্যন্ত পিতা তাহার ভরণপোষণ দিতে বাধা । বিবাহের পর ঐ কন্যার স্বামীই তাহাকে ভরণপোষণ করিবে, তাহার পিতা ভরণপোষণ করিতে বাধ্য নহে । এমন কি, কন্যার স্বামী যদি দরিদ্র হয়, তাহা হইলেও সেই কন্যা পিতার নিকট হইতে বা পিতার মৃত্যুর পর পিতার ওয়ারিসগণের নিকট হইতে ভরণপোষণ আদায় করিতে পারিবে না ( মোক্ষদা বঃ নন্দলাল, ২৮ কলি কাতা ২৭৮ ) ! (৪) স্ত্রী । বিবাহের সময় হইতেই স্বামী নিজ স্ত্রীকে ভরণপোষণ করিতে বাধ্য। স্ত্রী যতদিন অল্পবয়স্ক থাকেন, ততদিন প্রথানুসারে প্রায়ই তিনি পিত্ৰালয়ে বাস করেন, এবং পিতা তাহাকে স্নেহের সহিত প্রতিপালন করেন ; কিন্তু তিনি আইনমতে বিবাহের পর কন্যার গ্রাসাচ্ছাদন দিতে বাধ্য নহেন ; সুতরাং যদি পিতা অক্ষম হন বা অসম্মত হন, তাহ হইলে পিতৃগৃহেও স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে স্বামী বাধ্য হইবেন । স্বামা বর্তমানে স্বামী ভিন্ন আর কাহারও বিরুদ্ধে স্ত্রীর গ্রাসাচ্ছাদনের দাবা চলিতে পারে না ; কিন্তু যদি স্বামী স্ত্রীকে পরিত্যাগ করেন এবং স্বামার সম্পত্তি অন্য কেহ দখল করেন, তাই হইলে তাহ (র বিরুদ্ধে স্ত্রীর ঐ দাবী চলিবে । স্ত্রী স্বামীর সহিত এক সঙ্গে বাস করিতে বাধ্য, এবং স্ত্র স্বামীর সহিত বাস করিয়া তাহার কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য সম্পাদন করিতে থাকিলে স্বাম অবশ্য তাহার ভরণপোষণ দিতে বাধ্য হইবেন । যদি স্ত্রী আপন ভাড়াঘ বিন! কাবণ, কিংবা সংসার, করিতে গেলেই যেরূপ কলহ স্ত্রী-পুরুষে সচরাচর হইয়া থাকে সেইরূপ কলহের জন্য স্বামীকে পরিত্যাগ করিয়। অন্যত্র চলিয়া যান, তাহা হইলে তিনি পৃথক মাসহারার দাবী করিতে পারেন না । তবে श्रारौँ যদি স্ত্রীর প্রতি এরূপ নৃশংস ব্যবহার ( প্রহার ) করেন যে স্ত্রী স্বামীগৃহে থাকিলে তাহার অত্যন্ত শুড় সত্তাবনা