পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्न्लूि आहेन טאג পারিতেন, সেই বালককে তিনি দত্তক স্বরূপ গ্রহণ করিতে পারিবেন। সেই জন্য কন্যার বা ভগ্নীর বা মাসীর বা পিসীর পুত্রকে কোনও ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় বা বৈশ্ব ব্যক্তি দত্তকগ্রহণ করিতে পারেন না ; এবং ভ্রাতা, কাক, বা মামাকেও কেহ দত্তক গ্রহণ করিতে পারেন না । s ভ্রাতার পৌত্র, শু্যালক, শ্বালকপুত্র, শু্যালীর পুত্র ইত্যাদিকে সকলেই দত্তকরূপে গ্রহণ করিতে পারেন । কিন্তু বৈমাত্রেয় ভ্রাতাকে দত্তকরূপে গ্রহণ করা দ্বিজগণের পক্ষে শাস্ত্রে নিষিদ্ধ হইয়াছে । ( ৩ মাদ্রাজ ১৫ ; ৯ পাটনা ল টাইমস্, ১২৩ ) উপরোক্ত শৌণকের স্বত্র শূত্রের প্রতি প্রযোজ্য নহে। ( ২১ এলাহাবাদ ৪১২ )। অতএব শূদ্রেরা দৌহিত্র, ভাগিনেয়, বা মাসীর ও পিসীর পুত্রকে, এমন কি কাকা ও মামাকেও আইন মতে দত্তকগ্রহণ করিতে পারেন। বঙ্গদেশীয় কায়স্থগণ ক্ষত্রিয়বর্ণ, ইহা বহু শাস্ত্রযুক্তি দ্বারা প্রমাণিত হইয়াছে, কিন্তু তাহারা উপবীতত্যাগ এবং নামান্ত দাসদাসী শব্দ ব্যবহার করা হেতু শূদ্ৰত্বে পতিত হইয়াছেন, এই বলিয়া কলিকাতা হাইকোর্ট স্থির করিয়াছেন যে বঙ্গদেশে কায়স্থগণ ভাগিনেয়কে দত্তকরূপে গ্রহণ করিতে পারেন (রাজকুমার বঃ বিশ্বেশ্বর, ১• কলিকাতা ৬৮৮) । সম্প্রতি পাটনা হাইকোর্ট স্থির করিয়াছেন যে কায়স্থগণ শূদ্র নহেন ; তাহার মূলত: ক্ষত্রিয়, এবং যদিও তাহারা কোন কোন বিষয়ে দ্বিজাচার ( যথা উপবীতগ্রহণ ) পালন করেন না বটে তথাপি তজ্জন্য র্তাহাদের ক্ষত্রিয়বর্ণতা বিলুপ্ত হইতে পারে না। অতএব কোন কায়স্থ তাহার বৈমাত্র ভ্রাতাকে দত্তকরূপে গ্রহণ করিতে পারেন না ( রাজেন্দ্র প্রসাদ বস্থ বঃ গোলকপ্রসাদ বস্ব, ৯ পাটনা ল টাইমস্, ২৩ ) । এই মোকদ্দমায় পাটনা হাইকোর্ট কলিকাতার হাইকোটের ১০ কলিকাতা ৬৮৮ নামক নজীরটা ভ্রান্ত বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। পাটনা হাইকোটের উপরোক্ত