পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।
১৭

ত্রিকুলীন দুহিতাদিগের বিবরণ।

 যাঁহারা নৈকষ্য দৌহিত্র ও নৈকষ্যের পুত্র হইয়া আবার নৈকষ্য কুমারীদিগকে বিবাহ করেন আর তাহাদের গর্ভে যদি কন্যা জন্মে, তবে সেই কন্যাদিগকে ত্রিকুলাত্মজা কহে। এই ত্রিকুলাত্মজাদিগের প্রায় বিবাহ হয় না। তাঁহারা মহাভারতীয় বৃদ্ধা কন্যার ন্যায় চিরকালই কম্যাবস্থায় অবস্থিতি করেন। যদি দৈবানুকূল্য বশতঃ ঐ কুলীন মহোদয়গণ সমবংশীয় কোন বরপাত্রের সন্ধান প্রাপ্ত হন, তবে অতিশয় যত্ন পূর্ব্বক সেই পাত্রকে আনিয়া এবং হিতাহিত বিবেচনা শূন্য হইয়া তাহাকেই আপনাপন তনুজা ও অনুজাদিগকে সম্প্রদান করেন এবং অবিবেচনার ফল স্বরূপ তাহাদের বয়সের যেরূপ ন্যূনাধিক্য হইয়া থাকে তাহা দৃষ্টি করিলে সকলকেই হাস্য করিতে হয়।

 একবার শুনিয়াছিলাম, ভাগীরথীর পূর্ব্বকুলস্থ কোন গণ্ড গ্রাম বাসিনী এক ত্রিকুল দুহিতার বিবাহ দিবার নিমিত্ত তাঁহার আত্মীয়গণ বহু বর্ষ বয়স্ক এক বরপাত্র আনয়ন করিয়াছিলেন। কন্যা ঐ বৃদ্ধ বরকে বরণ করিতে অনিচ্ছুক হইয়া কহিল, তোমরা বলপূর্ব্বক আমাকে একাদশী ব্রত গ্রহণ করাইও না, আমি এই অবস্থাতেই থাকিব, আর তোমরা যদ্যপি নিতান্তই আমার বিবাহ দিতে ইচ্ছা কর তবে উহার পুত্রের সহিত বিবাহ দেও। এই কথায় তাহার বন্ধু বর্গ ঐ বৃদ্ধের সহিত তাহার বিবাহ না দিয়া ঐ বৃদ্ধের দ্বাদশ বর্ষীয় পুরে সহিত ঐ ত্রিংশৎ বর্ষীয়া নারীর বিবাহ দিল এবং ঐ নারী সেই দ্বাদশ বর্ষীয় বালকের হস্ত ধারণ পূর্ব্বক লইয়া গেল। হে পাঠকবর্গ! এই