পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।
২৭

ত্রিবেণীর পশ্চিম দেবানন্দপুর নামক গ্রামে এক ব্যক্তি কন্যা গ্রহণ করিবার নিমিত্ত আসনে উপবেশন করিয়াছেন এমত সময়ে সেই কন্যা কহিল আমার সহিত ব্রাহ্মণের বিবাহ দিও না আমি সদাপের কন্যা, এই কথা শ্বণ করিয়া সকলে চমৎকৃত হইল এবং সম্বন্ধ কর্ত্তা ঘটককে উত্তম মথ্যম রূপে পুরস্কার দিল। কোন গ্রামে এক ব্রাহ্মণ অতি ইতর জাতীয় কন্যার সহিত স্বীয় পুত্রের বিবাহ দিয়াছিলেন, বহু দিবসাবধি তাহা জানিতে পারেন নাই, পরে এক দিবস ঐ ব্রাহ্মণের বাটীতে তাহার পরিবারেরা পৈতা প্রস্তুত করিতেছিল, ইতিমধ্যে ঐ বধূ কহিল, তোমরা এমন করিয়া টানা করিতেছ কেন? ইহাতে কি কাপড় বোণা হইবে? আমার বাপ এমন করিয়া টানা করে না, ইহা শুনিয়া তাহারা কহিল তুমি কি তাতির মেয়ে? সে তাহাতে কিছুই উত্তর করিল না, পরে তাহারা বিশেষ অনুসন্ধান করিয়া জানিতে পারিল সে জোলার কন্যা। এক জন ব্রাহ্মণ ও তাহার উপপত্নী এক ব্রাহ্মণী এই উভয়ে একটি নাপিত কন্যাকে স্বীয় তনয়া বলিয়া এবং আপনাদিগকে দম্পতীরূপে পরিচয় দিয়া এই মহানগরস্থ এক গৃহস্থকে বঞ্চনা করিয়াছিল। সেই গৃহস্থেরা বহু কালাবধি ঐ ব্যাপার অবগত হন নাই, পরে কোন সময়ে ঐ বধূর অতি শঙ্কটাপন্ন পীড়া উপস্থিত হইল, তাহাতে সেই বাটীর এক ব্যক্তি কহিল, আহা! ইহার এমনও পিতা মাতা যে ইহাকে একেবারে সীতা নির্ব্বাসনের ন্যায় নির্ব্বাসন করিয়া দিয়াছে, ইহার এতাদৃশ পীড়া উপস্থিত হইয়াছে তাহারা একবার উদ্দেশ করিল না। এই কথা শ্রবণ করিবামাত্র সেই বধু