পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о о হিমালয় এখানে কয়লার অভাব ছিল না । একখানি কয়লা দিয়ে দেওয়ালে কে মহাদেবের মূৰ্ত্তি একে রেখেছে। মহাদেব ঘাড় হেট কোরে কোলে উঠতে উদ্যত-বাহু গণেশকে দুই হাত দিয়ে জোড়িয়ে ধোরেছেন, আর পাশে দাড়িয়ে পাৰ্ব্বতী প্ৰসন্নমনে পিতা-পুত্রের এই স্নেহ-সম্মিলন দেখছেন । কয়লা দিয়ে অাঁকা বটে, কিন্তু তার প্রত্যেকটানে কতখানি মাধুরী, স্নেহ ও প্রেম ফুটে উঠেছে, তা হৃদয় দিয়ে অনুভূ { করা ছাড়া কালি কলমে লেখা যায় না । কোন সন্ন্যাসীরই অবশ্য এ ছবি অ্যাক ৷ হলের চিত্রের সঙ্গে এ ছবির যখন কোন সম্বন্ধই নেই, তখন আর কোন গৃহী ব্যক্তি এই সুদূর তীর্থে এসে ছবি অকুতে বোসবে ? কিন্তু সে যে একজন সুদক্ষ চিত্রকর ও সহৃদয় ব্যক্তি, তার আর সন্দেহ নেই। এই ছবি অ্যাকবার সময় হয় ত তারস্নেহভালবাসাপূর্ণ সংসারের কথা মনে পড়েছিল; সে হয়ত প্রিয়তমার প্ৰেমপূৰ্ণ দৃষ্টি ছেড়ে এসেছে, হয় তা প্ৰাণাধিক পুত্রের স্নেহ বন্ধন-পাশ কাটিয়ে এসেছে, তাই তার ব্যথিত হৃদয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এই দেওয়ালে অঙ্কিত কোরেছে এবং সন্ন্যাস-জীবনের দীর্ঘ সঞ্চিত স্নেহ ও প্রেমের উন্মুক্ত স্মৃতি এই ছবির প্রত্যেক টানে বিন্দু বিন্দু কোরে ঢেলে দিয়ে তাকে সুশোভিত কোরে তুলেছে। হয়ত শুধু মহাদেব অ্যাকাতেই তার ইচ্ছা দি ,কিন্তু তার হৃদয় অজ্ঞাতসারে তার জীবনের ছবি একে ফেলেছে; নতুপ। গৃহত্যাগী সন্ন্যাসীর সাধন ভবনে এ পূর্ণ সংসারীর আলেখ্য কেন ? অাপার মনে হলো: সন্ন্যাসী হয় ত এই মন্ত্রেরই উপাসক। মহাদেবের ন্যায় নিলিপ্তসংসারী হবার জন্যে তার যোগ সাধন ; কিন্তু এ নির্জন স্থান তার উপযোগী নয় ; এখানে পাৰ্বতীর হস্ত চিহ্ন কিছুই দেখা গেল না। যে বাড়ীতে একদিন রমণীর পদাৰ্পণ হোয়েছে, সে বাড়ীতে গৃহলক্ষ্মীদের কোন না কোন চিহ্ন থাকেই । অবিবাহিতের গৃহ-কক্ষে যদি কোন দিন রমণী প্ৰবেশ করেন, তবে তার সুকোমল কর সেই গৃহের বহু কালের সাধৱে বক্ষি, ৩ निभूश 1। বিদূরিত করে; কিন্তু এই পাৰ্ব্বত্য-গৃহে কখন যে কোন গৃহলক্ষ্মীর অধিষ্ঠান হােয়েছে, তা