পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দপ্রমাগ আর একদিকে মল্লবেশে বীর বৃকোদার। যেন প্ৰচণ্ড সমরোল্লাস তার বিরাট দেহকে অধীর কোরে তুলেছে । তিনি একটা প্ৰকাণ্ড গাছ উপডে নিয়ে, তার আগার দিকটা ধোরে শক্রমণ্ডলীর উপর নিক্ষেপ করবার উপক্ৰম কোছেন।:ভিয়ে রাজগণ ইতস্ততঃ পলায়নপর । সকলের পশ্চাতে এক প্ৰকাণ্ড হস্তী ; মাহুত তাকে ভীমের সম্মুখীন করবার জন্যে যথাসাধ্য বলে। তার মাথায় ডাঙ্গস মারছে, কিন্তু গুজরাজ বােধ করি বৃকোদরের হাতের সেই তৰুবরের এক আধটা। গুরু গম্ভীর প্রহর আস্বাদন কোরে থাকবে, সুতরাং হস্তিপকের অঙ্কুশ তাড়না তার চেয়ে অনেক শ্রেষ্ঠ ভেবেই উৰ্দ্ধশ্বাসে চূঢ়ছে। এক পাশে একখানি রথ, এই বৃক্ষের আঘাতেই চূর্ণমান। রথী ও সারথি বিপদ বুঝে পূর্বেই চম্পট দিয়েছিলেন, কিন্তু কিয়দার যেতে না যেতে পরস্পরের ধাক্কায় ভূতলে গড়াগড়ি দিচ্ছেন। রথীর শিরস্ত্ৰাণের উপর। সারথির নাগরাজত শোভা পাচ্ছে! পলায়ন কোরে ও সম্পূর্ণ নিরাপদ হবার সম্ভাবনা নেই দেখে দুজন ব্রাহ্মণ গলার পৈতা হাতে কোরে ধোরে ভীমসেনকে দেখাচ্ছে; তাদের ভয়চকিত মুখ ও কম্পমান দেহ দেখলেই মনে হয় যেন, তারা বোলছে, “মেরো না। বাবা, এই দেখি আমরা ব্ৰাহ্মণ, আশীৰ্ব্বাদ কচ্চি, তোমার ভাল হবে।” — শেষের দৃশ্যটা দেখে না হেসে থাকা যায় না। আরো কতকগুলো পৌরাণিক ছবি আছে। তার সমস্ত বেশ স্পষ্ট বোঝা যায় না ; যে গুলি মুছে গিয়েছে, অনেক কষ্টে তাদের অর্থ বোধ করা যায় বটে, কিন্তু আমি তাত খানি কষ্ট স্বীকার করা দরকার বোধ করলুম। না ! সেই হলের ঘর হোতে নদীর দিকে যে দুটা কুঠুরীর কথা বলেছি, তারই মধ্যে প্রবেশ কলুম। একটী কুঠুরীর দেওয়ালে অামি যে একখানি পট দেখলুম, সেখানা কিন্তু আমার সব চেয়ে ভাল লেগেছিল। হ'লেব মো ছবিগুলির কথা উপরে বলেছি, তাতে নানারকম রঙ্গের জোগাড় কোরাতে হয়েছিল এবং তুলীর দরকার হয়েছিল ; কিন্তু আমি এখন যে ছবিখানার | কথা বোলছি, তাতে সে সকল কিছুরই দরকার হয় নি। সন্ন্যাসী। ৭ আশ্ৰম",