পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ed হিমালয় । রের সব লোক একত্রিত হলো । স্ত্রী পুরুষ দেবতার সম্মখে নিঃসঙ্কোচে গায় গায় এসে দাড়ালে। আমি অপরিচিত পথিক, এক পাশে দাড়িয়ে এই পবিত্র দশ্য দেখতে লাগলুম। কি তাদের সুন্দর মুখশ্ৰী, কি তাদের প্ৰবল নিষ্ঠা ; এক সুগভীর ধৰ্ম্মভাব যেন তাদের সরল হৃদয়কে পরিপূর্ণ কোরে ফেলেছে। যখন সন্ধ্যার আরতি শেষ হলো,-শঙ্খ ঘণ্টার রব ধীরে ধীরে সেই নৈশ আকাশে বিলীন হোঁয়ে গেল এবং “ব্যোম কেদার” বোলে সকলে ভক্তিভাবে প্ৰণাম কোল্লে, তখন এক অতি অনির্বচনীয় ভাবে দেয় পূর্ণ কোরে আমি ধীরে ধীরে বাসায় ফিরে এলুম। আসতে "আসতে একটা কবিতা আমার মনে পোড়ে গেল,- “যোগী নাই পাই নাই পরমার্থ জ্ঞান, বেদান্তের প্রতিপাদ্য চিনি না চিন্ময়ে, আস্তিকের নাস্তিকের শুনিনি বিধান, জানি না কি লেখে তন্ত্র পুরাণ নিচয়ে । জানি এই, যোগী যারে ধেয়ায় হৃদয়ে, সরল বালিকা পূজে পুষ্প অর্ঘ্য দিয়া, সেই বিশ্বপতি দেবে সায়াহ্ন সময়ে, সুখী হই, ভক্তিভাবে হৃদে আরাধিয়া !” সন্ধ্যার পর বাজারের মধ্যে আর একটু ঘুরে দেখা গেল। বাজারের অধিকাংশ দোকানের সঙ্গেই যাত্রীদের বাসের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ঘর আছে কেহ বা দোকানঘরের মধ্যে ও দ্বিতলে যাত্রী-বাসের জন্য ঘর রেখেছে ; দেখলুম। সমস্ত বাজারে তিন চারশত্যের বেশী যাত্রী থাকতে পারে না ! সন্ধ্যা পৰ্য্যন্ত আকাশ বেশ পরিষ্কার ছিল ; সন্ধ্যার পর একটু একটু কোরে চারিদিকে মেঘ জমা হোতে লাগলো। যারা গ্ৰহণ দেখবার আশায় বোসেছিল, তাদের অদৃষ্ট আর গ্রহণ দেখা হোলো না। খানিক পরে খুব মেঘ কোরে বৃষ্টি এল। অনেকদিন পরে একটু ভাল রকম