পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোশীমঠের পথ S a আহার হোলো, বৈদাস্তিক ভায়া এই কয় দিনের অৰ্দ্ধাশন পরিপূর্ণ মাত্রায় পুষিয়ে নিলেন । আহারাদির পর সেই ঝুপ কাপ বৃষ্টির মধ্যে যখন কম্বলখানা গায়ে জড়িয়ে শয়ন করা গেল, তখন বোধ হোলো এমন আরাম বহুদিন উপভোগ করা হয় নি । , যোশীমঠের পথে

  • ২ মে, রবিবার, —অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ আমাদের উঠতে একটু বেশী দেৱী হোয়েছিল। তখন সূৰ্য উঠেছে, কিন্তু তখনো চারিদিকে মেঘ বেশ ঘন হোয়েছিল, আর সেই মেঘের মধ্য দিয়ে অল্প অল্প সূৰ্য্য-কিরণ জলসিক্ত পাৰ্ব্বত্য প্ৰকৃতির উপর এক একবার প্রতিফলিত হোচ্ছিল ; সে এমন সুন্দর যে সহজেই একটা কিছুর সঙ্গে তার উপমা দেবার ইচ্ছা হয়, কিন্তু যার সঙ্গে উপমা দেওয়া যেতে পারে এমন কিছু খাঁজে পাওয়া যায় না । আমার মনে হোলো কোন সুন্দরীর বড় বড় জলভরা মোখের উপর মুখে যদি একটু খানি হাসি ফুটে ওঠে ত সে অনেকটা এই রকম দেখায়। প্ৰভাত সূর্য্যের সেই সতেজ, প্ৰদীপ্ত রশ্মির চেয়ে এই মেঘাবৃত প্ৰভা কেমন মধুর ও সরস। বাজারের উপর সেই খোলা বারান্দায় বোসে গিরিপ্রাচীরবেষ্টিত এই সুন্দর ক্ষুদ্র নগরটির প্রাভাতিক শোভা দেখে, আমার চক্ষু জুড়িয়ে গেল। কিন্তু বেশীক্ষণ এ শোভা উপভোগ করবার অবসর পেলুম না, স্বামীজী ও বৈদান্তিক সুসজ্জিত হোস্ত্ৰে আমার পাশে এসে দর্শন দিলেন ; সুতরাং বাঙানিস্পত্তি না কোরে নেমে পড়া গেল, দোকানদারের প্রাপ্য চুকিয়ে দিতে আর বেশী বিলম্ব

C&CCF z )