পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোশীমঠের পথে SSV অস্তমিত তপনের লোহিত রাগ অতি সামান্য প্ৰকাশ পাচ্ছিল এবং আমাদের আগে পাছে চারিদিকে ধূসর পর্বতশ্রেণী বিরাট পাষাণ প্ৰাচী রের মত দাড়িয়ে ছিল। সেই গগনস্পশী স্ত। পাকার অন্ধকাররাশির দিকে তাকিয়ে ভয় ও ভক্তিতে হৃদয় পূর্ণ হোয়ে যায়। জগতের কোন গভীর রহস্যে পাষাণ বক্ষ পূর্ণ কোরে,কত যুগ যুগান্তর হোতে এরা এমনি এখানে দাড়িয়ে আছে, কে বোলাতে পারে, ? আমার মত সংসারতাপক্লিষ্ট পথিক কত দিন হয় তা এমনি সময় এখানে দাড়িয়ে এই গম্ভীর দৃশ্য দেখে এই কথাই চিন্তা কোরেছে । চটিতে বিশ্রাম কবুবার জন্যে অল্প জায়গা পাওয়া গেল, কিন্তু রাত্রে আর কিছু আহার জুটুলো না । শয়ন করা গেল বটে। কিন্তু রাত্রির সঙ্গে শীতে হৃৎকম্প বৃদ্ধি হোতে লাগলো । কি ভয়ানক শীত, আমরা একদিন ও এখন শীতের হাতে পড়িনি। কম্বলের সাধ্য কি এ শীতকে দমন করে ! স্বামীজি ও বৈদান্তিক একটু গরম হবার অভিপ্ৰায়ে আগাগোড়া কম্বল মুড়ি দিলেন। আমার আবার সে অভ্যাস নেই, নিতান্ত পক্ষে যদি নাকি বের না কোরে রাখি, ত ,দম আটকে মারা যাবার উপক্রম ঘটে ; কিন্তু নাকি খুলে রাখাতে বোধ হোতে লাগলো। রাজ্যের জমাট শীত অ্যর কোন খান দিয়ে সুবিধা না পেয়ে সেই পথেই বুকের মধ্যে প্রবেশ কোচ্ছে । চটি ওয়ালা আবার এর উপর জানিয়ে দিলে যে, আজ শীতের আরম্ভ মাত্ৰ ! এই যদি আরম্ভ হয় তবে শেস না জানি কি রকম ; আমার কল্পনা শক্তি সে কথা ভাবতে দেহখানির মতই আড়ষ্ট হোয়ে পড়লো। অত্যন্ত কষ্টে রাত্ৰি কেটে গেল। এই প্ৰবল শীতে আমার ভাল রকম ঘুম হয় নি, কিন্তু বৈদাস্তিক ভায়ার নাসিকা গর্জন সমস্ত রাত্রিই অপ্ৰতিহত ভাবে চোলেছিল। . ২৫ মে, সোমবার, -- খুব সকালে উঠে রওনা হওয়া গেল। কনকনে শীত, দুইপাশে উচু অসমান পাহাড়, পাহাড়ের গা দিয়ে অ্যাকারাক। অপ্ৰশান্ত রাস্তা ! সেই রাস্তা ধোরে আমরা চলতে লাগলুম। এদিকে سيساً