পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ΣΣ) 8 -श्भिाजध, ক্রমেই গাছপালা সমস্ত কোমে আসচে ; আমরা আজ যে রাস্তায় চলচি, তাতে গাছপালা নেই বল্লেই হয় ; খালি নীরস, কঠিন, ধূসর পর্বতশ্রেণী অভ্ৰভেদী হোয়ে পথরোধ কোরে দাড়িয়েছে। দুই একটা জায়গায় বরফ জমাট বেঁধে রয়েছে। অন্যান্য দিন কদাচি বরফ দেখতে পাওয়া যেত, কিন্তু আজ অনেক জায়গাতেই শ্বেত বর:োর স্তােপ দেখা যাচ্ছে। সেই নিষ্কলঙ্ক শুভ্র বরফস্তাপের দিকে চাইলে মনে কয়, এমন পবিত্ৰ বুঝি জগতে আর কিছু নেই। : বেলা প্রায় ৯টার সময় আমরা যে পাগ দিয়ে যাচ্ছিলুম, সেটা ছেড়ে একটা পরিষ্কার জায়গায় এসে পড়লুম। । এতক্ষণ দেখতে পাই নি, কারণ সম্মুখের পাহাড়ে আমাদের দৃষ্টিরোধ হোয়েছিল, কিন্তু এখানে ऐछ४iश्रिङ হওয়! মাত্ৰ কি অপূৰ্ব্ব সুন্দর, মহান ও গম্ভীর দৃশ্য আমাদের সম্মুখে উন্মুক্ত হোলে। ! বিস্ময় বিশ্বফারিত নেত্ৰে দেখলুম। আমরা এক সুবিশাল বরফের পাহাডের সম্মুখে এসে দাড়িয়েছি ; তার চারিটি সুদীর্ঘ শৃঙ্গ আগগোড়া বরফে আচ্ছন্ন। তখন সূৰ্য্য আকাশের অনেক উচ্চে উঠেছে ; তার উজ্জল কিরণ এসে সেই সমুন্নত শুভ্ৰ পৰ্ব্বত শৃঙ্গ গুলির উপর ’ে ! ড়েছে, প্ৰাতঃসূৰ্য্যকিরণ সেই তুষার-ধ 1ল আৰ্দ্ধ পৰ্ব্বতশৃঙ্গে হিল্লোলি হওয়াতে বিভিন্ন বর্ণের সমাবেশে প্রতিক্ষণে কি যে অপূর্ব সৌন্দৰ্য্য প্ৰতিফলিত £ হোচ্ছিল, বৰ্ণনা কোরে তা বুঝিয়ে দেওয়া যায় না; পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম চিত্রকরের তুলীতে সেই অপূৰ্ব্ব দৃশ্যের অতি সামান্য প্রতিকৃতি ও অঙ্কিত হোতে পারে না । মানুষের দু’খনি হাত আশ্চয্য কাজ কোরিতে পারে ; প্ৰকৃতিকে লজ্জা দেবার চেষ্টাতেই বুঝি, মানুষের ক্ষুদ্র দু’খানি হাতে আগ্রার জগদ্বিখ্যাত সৌধ নিৰ্ম্মিত হোয়ে পথিকের নয়ন মন মুগ্ধ কোরেছে। তাজমহল আমি অনেকবার দেখেছি,-সে। সৌন্দর্য, সে ভাস্কর-নৈপুণ্য, নিষ্কলঙ্ক শুভ্ৰ মাৰ্ব্বেল প্রস্তরের সেই বিচিত্ৰ হৰ্ম্ম্য প্ৰকৃতির স্বহস্তের কোন রচনা অপেক্ষা হীন বোলে বোধ হয় না ; কিন্তু আজ আমার সম্মুখে সহস)