পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSW) श्व्लिा । চারিদিক অত্যন্ত নীচু, কেবল মাঝখানে পাহাড়ের মাথার উপর বাজার হোতে নীচের দৃশ্য বড়ই সুন্দর। আমরা একটা দোকানে আডা নিলুম, আমাদের সেই দোকান বাজারের এক প্ৰান্তে । দোকান হোতে নেমে দাড়িয়ে একবার নীচের দিকে তাকিয়ে দেখলুম ; মাথা ঘুরে উঠলো । ‘পিপলকুঠী’তেই সে বেলা বাস কোর্তে হবে শুনে, আমাদের আত্মাপুরুষ উড়ে গেল। পাঠকের বোধ করি স্মরণ আছে, রাস্তায় একদিন ‘পিপল চটীতে’, মাছির উৎপাতে বিব্রত হয়ে দুপুরের রৌদ্র মাথায় কোরেই আমাদের চট ত্যাগ কোবুতে হয়। বাঙ্গালায় একটা প্ৰবাদ অাছে “ঘর পোড়া গরু সিদরে মেঘ দেখলেই ভয় পায়”—আমাদের ও সেই দশা । ‘পিপলকুঠি” নাম শুনেই “পিপলচটির কথা মনে পড়লো এবং সঙ্গে সঙ্গে সেই অগণ্য মক্ষিক'সকলের সাদর সম্ভাষণের সম্ভাবনায় প্ৰাণে দারুণ আশঙ্কা উপস্থিত হোলো । সঙ্গীর স্বামীজি অচ্যত ভয়াকে ডেকে বোল্লেন, “অচ্যুত ! দেখি কি, আজ মহাসংগ্ৰাম! চটিতে যদি হাজার সৈন্ত থাকে, তবে কুঠীতে যে লক্ষাধিক সৈন্য থাকবে, তার আর সন্দেহ নেই ।” যা হোক, খানিক পরেই বুঝলুম, আমাদের ভয় অমূলক ; এখা” ( মাছির কোন উপদ্রব নেই, কিন্তু মাছির বদলে আমাদের আর এ ওপদ্রব সহ। কোবুতে হোলো । আমাদের দোকানদারের বাড়ী আর দোকান একই ঘরে । সেই ঘরের যে অংশে আমাদের থাকবার জায়গা হোলো, তারই আর এক অংশে দোকানদারের পরিবারগণ বাস করে । তার পরিবারের মধ্যে তার স্ত্রী, একটি ষোল সতের বছর বয়সের ছেলে, আর তিন চারিটি ছোট ছোট ছেলে মেয়েকে দেখতে পেলুম। বড় ছেলেটি দোকানের কাজে বাপের সাহায্য করে, আর ছোট ছেলেমেয়েগুলি বাপ মায়ের দোকান আর গৃহস্থালীর এলোমেলো বাড়িয়ে দেয়। আজ তাদের দোকানে এই নূতন যাত্রী কয়টি দেখে, তাদের আনন্দ দেখে কে ? আমাদের সঙ্গে বন্ধুতা স্থাপনের জন্যে তারা বড়ই উৎসুক হোয়ে উঠলো । আচুৰ্যত ভায়ার