পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y R 8 श्भिाल । প্লাবন ভেদ কোরে তার যে পুনরুখান হয়, তা মহাভারতীয় যুগের সেই তেজোময় মহাপ্ৰতাপ সম্পন্ন কৰ্ম্মশীল জীবনের একটা বিরাট কম্পনে হিন্দু সমাজের সর্বাঙ্গ পূর্ণ করতে পারে নি। সত্য, কিন্তু তা যে হিন্দুসমাজে এক নব প্ৰাণের সঞ্চার কোরেছিল, তার আর সন্দেহ নাই ; শঙ্করাচাৰ্য্যই এই নব প্রাণের প্রতিষ্ঠাতা এবং তঁহার স্থাপিত এই মঠ চতুষ্টয়ই তাহার প্ৰতিষ্ঠাক্ষেত্র । দ্বারকায় তিনি যে মঠ স্থাপন করেন, সেই মঠের নাম “শারদ। মঠ”, সেতুবন্ধ রামেশ্বরে স্থাপিত মঠের নাম “সিঙ্গিরী মঠ”, পুরুযোত্তমে “গোবৰ্দ্ধন মঠ”, এবং হিমাচলের এই দুৰ্গম প্ৰান্তে “যোশীমঠ” যুগান্তীত কাল হোতে বিস্তীর্ণ ভারতে তঁর অমর কীৰ্ত্তি ঘোষণা কচ্চে । স্থানমাহত্ম্যের অনুসরণ কোলে এই মঠ বদরিকাশ্রমেই প্ৰতিষ্ঠিত হওয়ায় উচিত ছিল, কিন্তু বদরিকা শ্ৰম বা ২ সাপের মধ্যে আট মাস বরফে ঢাকা থাকে। সুতরাং সে গানে বাস করা অসম্ভব বুঝে সে স্থানের পরিবৰ্ত্তে এখ|- নেহ মঠ স্থাপিত হোয়েছে ; এই মঠ অতি পুরাণে বলেই মনে হয় । বৰ্ত্তমান সময়ে পণ্ডিতেরা শঙ্করাচায্যের আবির্ভাব কালের যে সম সূত্র প্ৰমাণ সং গ্রহ কোরেছেন, তাতে কারো মতে তিনি ষষ্ঠ শতাব্দীর *ে * ভাগে এবং কারও কারও মতে আরও দুইশ বৎসর পরে অর্থাৎ অৰ্থ শতাব্দীর শেষভাগে জন্ম গ্ৰহণ কোরেছিলেন ৷ বদরিকাশ্রমে যাওয়ার পর যোশীমঠের মঠাধ্যক্ষের সঙ্গে আমার সেখানে দেখি। ঠোয়েছিল, কথা প্রসঙ্গে শঙ্করাচায্যের কথা উঠলে তিনি বোল্লেন, স্বামীজী ( শঙ্করাচাৰ্য্য ) অষ্টম শতাবদীর শেষ ভাগেই প্ৰাদুভূত হন । তিনি আরো বল্লেন যে, তার সঙ্গে আমাদের যোশীমঠে দেখা হোলে এ সম্বন্ধে অল্প বিস্তর প্রমাণও দেখাতে পারুতেন। যোশীমঠে অনেক পুরাণে পুথি ছিল, তার কতক কতক নানা রকম বিপ্লবে নষ্ট হেয়ে গিয়েছে ; কিন্তু সেই হস্তলিখিত কীটদষ্ট জীর্ণ প্ৰাচীন গ্রন্থের কতকগুলি এই মঠে বৰ্ত্তমান আছে এবং আমরা যদি পুনৰ্ব্বারা যোশীমঠে যাই, তা হোলে মঠাধ্যক্ষ মহাশয় আমাদের আহলাদের