যোশীমঠ >२१ বাসের বন্দোবস্ত, সে কেবল ইউরোপীয়গণের বিলাসরসসিক্ত দুর্বল অগু; কারণের পক্ষেই শোভা পায় এবং তাদের অনুকরণ-প্ৰিয় দেশীয়গণ সম্বন্ধেও একথা খাটতে পারে। এই কথায় বৈদাস্তিকের সঙ্গে দারুণ তর্ক বেধে গেল। আমি বল্লম, ‘ই। ইউরোপীয়গণের এ একটি ভয়ানক ক্রটী বলে অবশ্য স্বীকার কোর্তে হবে, কারণ র্তার। যে কয়টা বছর পাচেন, তাতে তাদের মহাপ্ৰাণী একটু সুখম্ব ছন্দ তী, একটু আরাম ও তৃপ্তি অনুভব করুবার অবসর পায় ; আর তারা যে কিছু কাজ করেন, তাতেও তাদের নামগুলিকে কিছু দীর্ঘকাল ইহলোকে স্থায়ী কবুবার কিঞ্চিৎ বন্দোবস্ত করা হয়। কিন্তু আমাদের ঠিক উলটো ব্যবস্থা ; জীবনটী পরিপূর্ণমাত্রায় অপব্যয় করাই আমাদের বৈরাগ্যের প্রধান লক্ষণ ।” যা হোক সুখের বিষয় স্বামীজির বিশেষ যত্নে আমাদের এই ८न्ताव् ऊउ58° নিবৃত্ত্বি হোয়ে গেল। আমরা চলতে চলতে বাজার দেখতে লাগিলুম ; দেখ লুম বাজারে সকল রিকশা জিনিসই পাওয়া যায়, এমন কি সোনা-রূপার কারিক ব্ল এবং টা কাকড়ি লেনদেনের মহাজন পৰ্য্যন্ত এখানে আছে । এ সকল এখানে থাকবার কারণ যোশীমঠ বদরি-নারায়ণের মোহান্তের ‘হেড কোয়াটার”, তিনি এখানে সশিষ্যে বাস করেন। এতদ্ভিন্ন যে সমস্ত পাহাড়ী ভূটিয়া ও নেপালীগণ বদরিকাশ্রমে বাস করে, তারা শীতকালে সেখানে থাকতে ন! পেরে এখানে এসে কয়েকমাস কাটিয়ে গ্রীষ্মকালে আবার দেশে ফিরে घभू ! যোশীমঠের দু’মাইল নীচে পাহাড়ের পাদদেশে বিষ্ণু প্ৰয়াগ । বিষ্ণুপ্ৰয়াগেও অনেক লোক বাস করে, কিন্তু তা ছেড়ে আর পানিক আগে গেলে আর লোকালয় দেখা যায় না । বলতে গেলে বদরিকাশ্ৰমের রাস্তায় বার মাসের লোকালয়ের এখানেই শেষ ; তবে এর পরেও দু’ একটা জায়গা আছে সেখানে কোন কোন বছর শীতের প্রাবল্য কিন্তু
