পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्भिाव्नम्न । مام বিশ্বাস কোরতে পারবেন না যে, এইটুকু ঘরে সাড়ে তিন হাত দীর্ঘ মানু? কিরূপে বসবাস করে । এই কথা বৈদান্তি কি ভায়াকে বলাতে তিনি একটা পৌরাণিক গড়ের অবতারণা কোল্লেন । কিঞ্চিৎ বিস্তৃতি হোলেও তার একটা সংক্ষিপ্তসার পাঠক মহাশয়কে উপহার দেওয়া যেতে পারে। বৈদান্তিকের মুখে শুনলুম, পূর্বকালে এক ঋষি ছিলেন, ( নামটা বেশ জা কাল রকম, কিন্তু স্মরণ হচ্ছে না। ) সেই ঋষি অনেক বৎসর যাবৎ তপস্যা করার পর তার কেমন সখী হোলো যে, একটুখানি ঘর তৈয়েরি কোরে তার নীচে মাথা রেখে দিনকতক আরামে থাকবেন। কিন্তু মানুষের পরমায়ুর কথা ত আর বলা যায় না, যদি শীঘ্রই পরমায়ু শেষ হয়, তবে অকারণ একখানা ঘর তোলা কেন ? তাই একবার ধ্যান কোরে পরমায়ুর শেষ মুড়োর অনুসন্ধান করা হোলো, কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশত: দেখলেন তঁার পরমায়ুর আর মোট পাঁচ হাজার বছর বাকি। অতএব এই সামান্য দিনের জন্যে ঘর তুলে খামক, ঝঞ্চাটের আবশ্যক কি ? এই সিদ্ধান্ত কোরে তিনি এক গাছতলায় বসেই সেই সামান্য কয়েকটা বছর কাটিয়ে দিলেন। ইতিমধ্যে একদিন একটি বড় গোছের দেবতার সঙ্গে তার সাক্ষা ২ হয়, অন্যান্য কথা তার পর দেবতাটা বোল্লেন, "আপনার একখানি কুটার হোলে ভাল হয়, গাছতলাটা বাসের পক্ষে খুব নিরাপদ স্থান নয়।”-আমাদের অল্পায়ু ঋষি ঠাকুরটী উত্তর দিলেন যে, “মোটে পাঁচ হাজার বছর বঁচিব, তার জন্যে আবার ঘর '--অর্থাৎ দু’পােচ লাখ বৎসর বাচাঁবার সম্ভাবনা থাকতে তা হোলে একদিন একটা কঁড়ে টুড়ে তয়েরী কোল্পে ও করা যেত । বৈদান্তিক এই দৃষ্টাস্তের সঙ্গে উপদেশ জুড়ে তে ও ছাড়লেন না ; তিনি বোল্লেন, এই ঘটনা হোতে বুঝা যাচ্চে, ইহলোককে আমরা কত তুচ্ছ জ্ঞান করি, পরলোকেই আমাদের স্থায়ী বাসস্থান ; দিন কতকের জন্যে يجابية" এই ইহলোকের প্রবাসে এসে তিন চার তালা বাড়ী তুলে স্থায়ী রকমে