পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোশীমঠ ֆ \9 ֆ দেখি, একটা দোতলা চক, বাইরে টানা বারাণ্ডা, মধ্যে ছোট ছোট কঠরী। বাহিরে অনতিদীর্ঘ একটি উঠান, তিন দিকে দোতলা কোঠা, আর এক দিকে মন্দির । অনুচ্চ মন্দির, মন্দিরের মধ্যে দিনের বেলাতেই ভয়ানক অন্ধকার। সচরাচর মন্দিরের মধ্যে যেখানে মূৰ্ত্তি থাকে, এষ্ট মন্দিরে সেখানে তাকিয়া বেষ্টিত স্থল। গদি দেখতে পেলুম ; এইটী শঙ্করাচায্যের গদি । এই গদি বা পাশে রেখে অগ্রসর হোতেই দেখি এক চতুভূজ মূৰ্ত্তি ; তেমন জাকাল নয়, বি. খনতঃ একটা অন্ধকারময় কুঠুরীতে পোড়ে তার মাহাত্ম্য ও খুব খাট হোয়ে গিয়েছে বোলে বোধ হলো । মন্দির থেকে বেরিয়ে উঠানের এক পাশে বোসলমা। উঠানটি পাথর দিয়ে বাধানে, দেখলুম। সেখানে অনেকগুলি স্ত্রীপুরুষ কোলাহল কোচ্ছে । একজন পাণ্ডা একটি স্ত্রীলোকের সঙ্গে এমন কুৎসিত ভাষায় ঋগড়া কোরছে যে সেখানে দুদণ্ড অপেক্ষা করা অসম্ভব হোয়ে উঠলো। কোথায় মহাত্মা শঙ্করাচাৰ্য্যের প্রধান মাঠে উপস্থিত হোয়ে আমরা শান্তি আনন্দ উপভোগ করবো, না পাণ্ডাঠাপুকুরদের বৈষয়িক গণ্ডগোলের জন্যে হিমালয়ের শৈত্য ও শান্তিময় ক্রোড়স্থিত এই পরম পবিত্ৰ তীৰ্থস্থান এক বিড়ম্বনার কারণ হোয়ে দাড়িয়েছে। এই মঠ নিয়ে যে সমস্ত পৈশাচিক কাণ্ডের অভিনয় হোয়ে গিয়েছে, তা শুনলে মনে বড়ই কষ্ট উপস্থিত হয়। পাঠক মহাশয়ের অবগতির জন্য মঠের সেই শোচনীয় ইতিহাস এখানে সংক্ষেপে বিবৃত কোরাচি । শঙ্করাচাৰ্য্য এই মঠের ভার ক্রোটকাচাৰ্য্য গিরির হাতে সমৰ্পণ কোরে যান। এই মঠ তিন শ্রেণীর সন্ন্যাসীর অধিকারে থাকে; গিরি, পুরী ও সাগর। সন্ন্যাসী মহাশয়েরা সহসা এই অতুল সম্পত্তির অধিকারী হোয়ে সন্ন্যাস ধৰ্ম্ম আর ঠিক রাখতে পারলেন না । দীর্ঘকালের কঠোর সংযম ও বৈরাগকে বিলাস সাগরে ভাসিয়ে শুষ্ক প্ৰাণে প্রচুর আরাম সঞ্চয় করতে লাগলেন । ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম সমস্ত বিসর্জন দিয়ে শুধু শারীরিক সুখ সম্ভোগই তাদের জীবনের