পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>७२ হিমাৱায় অদ্বিতীয় উদ্দেশ্য হোয়ে উঠলো। ক্রমে তঁাদের অবস্থা এরকম হোয়ে উঠলো। যে, মঠ আর চলে না। এই অবস্থায় মঠাধ্যক্ষ “গিরি” সন্ন্যাসী অন্য সম্প্রদায়ের একজন সন্ন্যাসীর সঙ্গে জুয়া খেলে যথাসৰ্ব্বস্ব হারান। শেষে এই মঠ বাজী BBD DBBD DB DDBD BBBS DDBDYB uuTg DBBBBDB DDD SS DBDDS ঠাকুরের যে রকম পণ, তাতে যদি দ্ৰৌপদী থাকৃতে তা হলে তাকে ও ইয়। ত পণে ধোরতেন। যাহোক তা না থাকলে ও এখানেই এক পর্ব অভিনী ত হোয়ে গেল। সৰ্ব্বত্যাগী হয়েও যিনি ইচ্ছা কোরে প্রবৃত্তির স্রোতে আপনার মন প্ৰাণ ভাসিয়ে দিয়েছিলেন, এখন বাধ্য হোয়ে তাকে নিবৃত্তির অঙ্কে আশ্রয় নিতে হলো ও আসক্তিবর্জিত বৈরাগ্যাবলম্বী সাধুব মত সমস্ত ত্যাগ কোরে চলে যেতে হলো ; কিন্তু তঁার এই চিরন্তনের বিলাস । ক্ষেত্র ছেড়ে যেতে মনে যে দারুণ আঘাত লেগেছিল, মায়াবদ্ধ গৃহীর নৈরাশ্যপূর্ণ মৰ্ম্মভেদী যাতনা অপেক্ষ তা অল্প নয় । যা হোক, যে সন্ন্যাসী এই মঠ লাভ কোল্লেন, তিনি ইহা দক্ষিণ দেশী রাওল ব্ৰাহ্মণদের কাছে বিক্রয় কোল্লেন । তারাই এখন এই মঠের অধিকারী, সুতরাং বদরিনারায়ণের মন্দির আজও তাদের দখলে । * তৃ লুম, এ, পৰ্য্যন্ত সাতাশ জন রাওল-ব্রাহ্মণ এই মঠের অধ্যক্ষতা কে ৩ -৫ গেছেন । তাড়িত সন্ন্যাসী বা মঠাধ্যক্ষের বর্তমান উত্তরাধিকারী কে বলানন্দ গিরি এখন নেপালে আছেন শুনা গেল । তিনি অতি মহৎ লোক । এই মন্দির হস্তগত করবার জন্যে তিনি বিশেষ চেষ্টা কোচ্ছেন। তিনি বলেন, মঠ দান বিক্রয় করবার বা বন্ধক দেবার সম্পত্তি নহে, কিম্বা মঠাধ্যক্ষের সে অধিকার ও নাই ; তিনি আজীবন মঠের স্বত্বাধিকারী মাত্র, তাও যদি তিনি পবিত্রভাবে মঠের সকল অনুশাসন মেনে চলেন, তা হোলেই । কলুষিত-চরিত্র বা ভ্ৰষ্টাচারী হোলে তঁকে মঠচু্যত হোতে হবে, ইহাই শঙ্করাচাৰ্য্যের আদেশ। কেবলানন্দ গিরির এই মঠে সম্পূর্ণ অধিকার আছে। জানি না। এই মঠ নিয়ে মামল মকদ্দমা হওয়া সম্ভব আছে কি না।