f I히 \ ঘের মাধুৰ্য্য ও গৌরব অপেক্ষা তিনি পৌরাণিক আধিপত্যকেই শ্ৰেষ্ঠ আসন দিতে চান । যাহোক, কাব্যজগতে বিষ্ণু-প্ৰয়াগের মহিমা স্বপ্রকাশিত ; ত৷ কোন লেখকের লেখনীমুখে ব্যক্তি হোক, আর নাই হোক। আজ পাল প্ৰকৃতির জীবন্ত সৌন্দর্য্যের প্রীতিপূৰ্ণ স্নিগ্ধ সম্ভার পৌরাণিক প্রতিষ্ঠার উপর নিঃসস্কোচে রাজত্ব কোরচে, সুতরাং এ যুগে বিষ্ণু-প্ৰয়াগকে প্রয়াগসমষ্টির মধ্যে শ্ৰেষ্ঠ স্থান দিলে বেশী। আপত্তি হবার সম্ভাবনা দেখা যায় না ; আর যদি দুই নদীর সঙ্গমস্থলকেই প্ৰয়াগ বলা যায়, তা হোলে এই স্থানটিকেই সকলের আগে প্ৰয়াগ বলা উচিত। কেন, সে কথা আগে বোলেছি। আমরা যখন যোশীমঠ হোতে খানিকটে নেমে এসেছি, সেই সময় খানিক দূরে জলের একটা গম্ভীর কল্লোল শুনা গেল। এই অবিরাম কল্লোলের সঙ্গে কার যে তুলনা দেওয়া যেতে পারে, অনেক চিন্তা কোরেও স্থির কোর্তে পারি নি। কোথা হোতে এই শব্দ আসচে, তা কিছুই ঠিক কোর্তে পাল্লাম না, বিশেষ আমাদের তিন জনেরই অভিজ্ঞতা সমান, সুতরাং কোন রকমেই সীমাংসা হলো না । তবে অনুমান, এ শব্দ অলকনন্দার স্রোতের শব্দ ভিন্ন আর কিছু নয়। ক্রমে যখন ধীবুে ধীরে বিষ্ণুগঙ্গার সাকোর উপর এসে পোড়লুম, তখন খুব প্রবল শব্দ শুনতে পাওয়া গেল ; একটু এদিকে ওদিকে সন্ধান কোর্তেই দেখলুম, বিষ্ণুগঙ্গা খুব প্রবল বেগে বয়ে যাচ্ছে, এ তারই শব্দ । আমরা ঘরতে ঘুরতে নদীর কাছে এসে দাঁড়ালুম। এখানে নদীর তলদেশ অত্যন্ত ভয়ানক, বড় উচু নীচু, তাই এ রকম জলের শব্দ হোচ্ছে । আমরা সাকো পার হোয়ে বাজারে উপস্থিত হোলুম। বাজার তা ভারি, সেই “যথা পূর্ব তথাপির” । খানিকটে অপ্ৰশস্ত সমতল জায়গায় খান চার দোকান ; তাতে আটা, ডাল, ঘি, নুন, গুড় বিক্রয় হয়। আমরা বাজারে উপস্থিত হবা-মাত্র একজন দোকানদার-ফরমাইস পেলে সে তখনি গরম