পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষ্ণুপ্ৰয়াগ । NVOG) আছড়ে পোড়ছে। এ পৰ্য্যন্ত অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখেছি, কিন্তু এই প্রকারের এমন সুন্দর দৃশ্য আমার চক্ষে এই নৃতন। মন্দিরের কাছে এসে ইচ্ছা হোলো আজ এখানেই থাকি। মন্দিরের বাইরে খানিক বারান্দা বের করা ছিল, তাতে তিন চারজন লোক বেশ থাকতে পারে ; কিন্তু কাকে ও না দেখে দাড়িয়ে ইতস্ততঃ করছি, এমন সময় দেখি সেই দোকানদার বামুন সেখানে উপস্থিত ; কথায় কথায় জানতে পাল্লম মলির এখন সেই দোকানদারেরই জিন্মায় আছে। আমি তখন সেই মন্দিরে থাকবার অভিপ্ৰায় প্রকাশ কোল্লাম ; কিন্তু সে প্রথমে কিছুতেই রাজি হোলে! না, কারণ মন্দিরটি নূতন তৈয়েরী হোয়েছে, তাতে এখনো দেবতা প্রতিষ্ঠা হয় নি। এক বৎসর হোলো ইন্দোরের রাণী এসে এই মন্দিব তৈয়েরী করিয়ে দিয়েছেন। এই বৎসর নৰ্ম্মদাতীর হোতে মহাদেবের লিঙ্গামূৰ্ত্তি এনে মন্দির ও দেবতা উভয়েরই প্রতিষ্ঠা করা হবে । আমি তো জোর জবরদস্তি কোরে মন্দিরের সম্মুখে বোসে পড়লুম, সেও কিন্তু নাছোড়বন্দ। । যাহোক দুই চারিটী বচন দেওয়ার পর সে আর কোন আপত্তি কলে না ; মন্দিরদ্বারে একটি ছোট ছেলে বোসেছিল ; তাকে বাজারে পাঠিয়ে স্বামীজী ও অচ্যুত ভায়াকে ডাকিয়ে আনলুম। স্বামীজী মন্দির ও স্থানের সৌন্দৰ্য্য দেখে একেবারে আনন্দে অধীর,বৈদান্তিক পারাৎ পক্ষে কারো প্ৰশংসা করেন না, কিম্বা অল্প কারণে তার হৃদয়ের উচ্ছাস ওষ্ঠের উপকূলে প্ৰকাশ পায় না, কিন্তু এই সুন্দর স্থান আবিষ্কার করার জন্যে তিনি আজ আমাকে কলম্বসের পাশে আসন দিতে সঙ্কুচিত হোলেন না। বাস্তবিক কোথায় আজ স্থানাভাবে এই শীতে বরফের মধ্যে, অনাবুত আকাশতলে বাস করার জন্যে র্তারা প্ৰস্তুত হোচ্ছিলেন, আর কোথায় এই সুন্দরস্থানে দে পলান্ধি গা-মন্দিরের মধ্যে সুখশয্যা ! মন্দিরের ভিতরটী আটকোণবিশিষ্ট, উপরে যথারীতি চুড়া। দ্বারের গাড়ী-বারান্দার মত একটা বারান্দা বের করা, তার তিন দিকে বড় বড়