পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)\う。 श्मिालद्म , পিছনে দাড় করিয়ে তাদের স্বার্থপরতার উপরই রাগটা বেশী প্রবল হোম্বে উঠেছিল। বাস্তবিক কত সময় আমরা পরের স্বার্থপরতা দেখে রাগ করি ; কিন্তু আমাদের সে রাগ ও স্বার্থপরতাপূর্ণ। আমাদের মনে হােতে লাগলো, যদি আমাদের দেশ, কি আমাদের ইষ্টাৰ্ণ বেঙ্গল ষ্টেটের রেলগাড়ি হোতে, তা হোলে এখনি পুলিসম্যান ডেকে ওদের গােটরি ও বেঁাচক বুচকি সরিয়ে দিয়ে এত জায়গা করে নিতে পাত্তম যে, তাতে বোসে হাত প। মেলে বিলক্ষণ আরাম কক্স যেতো। কিন্তু এখানে সে রকমের প্রীতিকর সম্ভাবনা কিছু মাত্র নেই, কাজেই উপস্থিত রাগটা চাপা দিয়ে বাসার অনুসন্ধানে অন্যত্ৰ প্ৰস্থান করা গেল । খানিক ঘুরতে ঘুরতে স্বামীজি ও অচ্যত ভায়া বোসে পোড়লেন, আমার শ্রান্তি ক্লান্তি নেই ; আমি ভাবলুম, আগে সঙ্গমস্থলটা দেখে আসি, তার পর যা হয় করা যাবে। সঙ্গমস্থলে চল,ম। বাজারের পিছনে খানিকটে নীচেই সঙ্গমস্থল, কিন্তু বাজারের পিছনে অল্প একটু নেমেই একেবারে ঠিক সঙ্গমস্থলের মাথার উপরে পাহাড়ের গায়ে একটা খুব নূতন ছোট মন্দির দেখলুম। মন্দিরটি এমন স্থানে “ মাৰ্মিত যে, এখানে মহাদেব প্ৰতিষ্ঠা না কোরে যদি একজন কবিকে ৫, ৬ষ্ঠা করা যেত, তা হোলে ঠিক কাজ করা হোতে। বিষ্ণুগঙ্গা ও অলকানন্দা গভীর নীচে দিয়ে আনন্দো সম্ভ ।াসের বিপুল কল্লোলে পরস্পর পরস্পরকে আলিঙ্গন কোরেছে ; পাশে ঈষৎ বক্র সমুন্নত বিশাল পর্বত আকাশ ভেদ কোরে উঠেছে এবং তারই গায়ে এই ক্ষুদ্র মন্দির, প্ৰকৃতির স্ব হস্তনিৰ্ম্মিত চিত্ৰবৎ ! তথন সন্ধ্যার বড় বিলম্ব ছিল না, আলো ও অন্ধকারের কোমল মিলন মন্দিরের শোভন দৃশ্যকে আরও মধুর কোরে তুলেছিল। আরো অগ্রসর হোয়ে দেখলুম, মন্দিরটির পাদদেশ হোতে আরম্ভ কোরে পাহাড়ের গা খুদে ছোট ছোট সিড়ি তৈয়েরী করা হয়েছে; সিঁড়ি একেবারে সঙ্গমস্থলে এসে পোড়েছে। উদাম তরঙ্গ সেই সিড়িতে, পৰ্ব্বতের কঠিন গায়ে ক্রমাগত