পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

’পাণ্ডুকেশ্বর S 8 পেছনে পোড়ে আর কোন পথিকের স্কন্ধাবলম্বনের অবসর খুজতে । কিন্তু তা তো হবার নয় ; অদৃষ্ট সঙ্গে সঙ্গেই ফেরে, এবং তা জেনেও আমি তাড়াতাড়ি চলি ; অভিপ্ৰায়, অদৃষ্ট যা কিছু আছে শীঘ্র শীঘ্র ঘটে। যাক ; তার পরে দিন কত একটু বির মা ভোগ করা যাবে। বৈদান্তিক ভায়াও আমার তাড়াতাড়ি চলার একটা ভাল রকম কৈফিয়ৎ চেয়েছিলেন, সেবার তাকে আমি এই কৈফিয়ৎই দিয়েছিলুম ; কিন্তু তাতে তিনি আমাকে যে সস্তাবনা জানিয়েছিলেন, তার মা ধ্যা কতখানি বেদান্ত ও কতটুকু মায়াবাদ ছিল, তা ঠিক কোন্তে পারি নি। যাই হোক, কিন্তু তার গল্পে একটু নূতনত্ব ছিল এবং পথ চোলাতে চোলাতে সেই নূতনত্বটুকু বেশ আমোদজনক বোধ হোয়েছিল। আমার সহৃদয় পাঠকগণকে আমি সে রস হোতে বঞ্চিত কোর্ভে চাইনে, কারণ সেটা সাধুর লক্ষণ । i বৈদাস্তিক ভায় বোল্লেন, “আমি যে অদৃষ্টের ভোগটা তাড়াতাড়ি কাটিয়ে দিনকতক আরাম ভোগের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় স্ফীত হোচ্ছি, ত|” আমার মত নূতন বিরক্ত মূঢ় সন্ন্যাসীর কাছে খড় সহজ বোলে বোধ হোলেও, কাজে তা বিলক্ষণ কঠিন । যা ললাটে আরাম ভোগের কক্ষে শূন্য অঙ্ক লেখা আছে, সে কি ঋণ কোরে আরাম ভোগ কোৰূবে ? আরাম বিরামের রাজ্যে দেন। পা ওনার কারবার থা বলে অনেক রাজা রাজড়া অতি উচ্চ দান দিয়ে এই জিনিসকে কিনতেন ; কিন্তু ভগবানের মজ্জি অন্য রকম।” বাস্তবিক অদৃষ্ট জিনিষটা বড়ই খারাপ, শুধু ইহলোক নয়-পরলোকের পার পর্য্যন্ত সঙ্গে সঙ্গে ছোটে এবং তার জন্যে কোন মুটে বা কুলীর আয়োজন কোর্তে হয় না । দৃষ্টান্ত-স্বরূপ ভায়’ বোল্লেন,-“ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের একজন লোকের কাক চরিত্র বিদ্যায় খানিকটা অভিজ্ঞতা ছিল । লোকটা একদিন শ্মশানের কাছ দিয়ে যেতে সেতে দেখলে, একটা অনেকদিনের পুরাণো মড়ার মাথা পোড়ে রয়েছে