পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণ্ডুকেশ্বর । S 8 বাস্ত সমস্ত হোয়ে গৃহণীকে জিজ্ঞাসা কোল্লেন, হঁাড়ি কোথায় ? পত্নী পণ্ডিত মহাশয়কে বিরহ-ব্যথায় অত্যধিক ব্যাকুল করবার অভিপ্ৰায়ে সমস্ত কথা সবিস্তারে বোলে তার প্ৰিয়তমাৰ কপালের দুরবস্থা দেখাইবার জন্যে নর্দামার কাছে হাত ধোরে নিয়ে গেলেন। পণ্ডিতের কিন্তু চক্ষু স্থির - “অপরং বা কিং ভবিষ্যতি” এই রকম ভাবে ফলবে তা কে জানতো ? ? বৈদান্তিক বোল্লেন, মরণের পরও যখন অদৃষ্ট সঙ্গে সঙ্গে ফেরে, তখন আমার সুখভোগের আশাটা অলীক মাত্ৰ । বৈদান্তিকের আর কোন ক্ষমতা না থাক, তিনি মানটিকে বেশ দমিয়ে দিতে পারেন ; কিন্তু আমার তাতে বিশেষ বড় আসে যায় না । গল্প কোর্তে কোৰ্ত্তে রাস্তবায়ু বেরিয়ে পড়া গেল । উপক্ৰমণিকাতেই স্বামীজি আমাকে খুব ধীরে চলাবার জন্যে অনুমতি কোল্লেন এবং আজ যদি তাড়াতাড়ি চলি, তা হোলে আমার অসুখ হোতে পারে বোলে ভবিষ্যং বাণী কোর্তে ও ছাড়লেন না ; কিন্তু তার এ রকমের সাবধানত এ নূতন নয়, কাজেই আমার কাছে তার তেমন দর হলো না । আমরা খানিক দূর অগ্রসর হোয়ে একটা কাঠের সাকো দিয়ে অলকানন্দ পার হোলুম। সাকোটীর উপর দিয়ে যেতে বড়ই ভয় কোর্তে লাগলো । ইংরেজের তৈয়েরী লোহার সাকোর উপর দিয়ে বেশ সগৰ্বে চলে যাওয়া যায় ; কিন্তু পাহাড়ী কারিগরদের তৈয়েরী এই কাঠের স। কোর কাছে এসে আমার সে কালের লছমনকোলার কথা মনে পড়লো । বাস্তবিক এমন খারাপ সাকো আমি এ পৰ্য্যন্ত একটাও দেখি নি। যাহোক অতি সাবধানে ত সাকোটা পার হওয়া গেল। খানিক দূর এগিয়ে যখন পেছন ফিরে চাইলুম। তখন সঙ্গীদের কাকেও দেখতে ৩।পলুম না। এই বঁকা রাস্তায় ৫১ হাত এগিয়ে এলে আর কাকেও বড় দেখবার যে নেই। : 9 সাকো পার হোয়ে রাস্তার ভীষণতা বুঝতে পালুম! এ, পৰ্য্যন্ত