পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণ্ডুকেশ্বর δ . Σ পারেন না। খুব অল্প সংখ্যক পাহাড়ী জোয়ানেরাই তিন ঘণ্টায় এ রাস্ত । হাঁটুতে পারে। আজ এই ভয়ানক দুৰ্গম রাস্তা অতিক্রম কোর্তে একজন দুর্বল বঙ্গ-সন্তান, প্ৰবল বিক্রম, বলিষ্ঠ দেহ, পাহাড়ীর সমকক্ষ হয়ে উঠেছে মনে কোরে অহঙ্কারে আমার বুকখানা দশ হাত হোয়ে উঠ লো এবং নিজেকে অদ্বিতীয় বঙ্গবীর স্থির কোরে যথেষ্ট আত্মপ্রসাদ ভোগ করা গেল । কিন্তু হায়, সকলে আমার মত বঙ্গবীর নয় : বঙ্গভূমির মুখ উজ্জল ও সকলের দ্বারা সম্ভব নয় ; আমি অমিত পরাক্রমে তিন ঘণ্টায় বিষ্ণুপ্রিয়াগ হোতে পাণ্ডুকেশ্বরে এলুম। বটে, কিন্তু স্বামীজি ও বৈদান্তিক কারো দেখ। নেই ; এ বোলা যে তারা আসতে পারেন। সে বিষয়েও আমার সন্দেহ হোল। তারা দেখছি বাঙ্গালীর নাম রাখতে

  • (?e • ।

কি করা যায় ; পাণ্ডুকেশ্বরে এসে একটু ঘুরে বেড়ান গেল। প্রথমেই পাণ্ডুকেশ্বরের নাম-রহস্য জানিবার জন্য কৌতুহল হােলো। : শুনলুম, এখানে মহারাজ পাণ্ড দীর্ঘকাল যাবৎ তপস্যা কোরেছিলেন, তাই এস্থানের নাম ‘পাণ্ডুকেশ্বর” । এখানে একটা খুব প্ৰাচীন মন্দির দেখতে পেলুম। বদরিকাশ্রমের রাস্তায় এ পর্যন্ত যতগুলি মন্দির দেখেছি, তার মধ্যে দুটির মত প্ৰাচীন মন্দির আর আমার নজরে পড়ে নি, একটি হৃষীকেশে, আর একটি এই পাণ্ডুকেশ্বরে। অনেক কালের পুরাণে বোলে মন্দিরটার খানিক অংশ মাটির মধ্যে বোসে গিয়েছে। মন্দিরের পাশে ছোট ছোট চার পাচটা পাথরের কোটা বাড়ী আছে, সেগুলিরও জীৰ্ণ অবস্থা ; নানা রকমের গাছ পালা তাদের মাথার উপর সগৰ্ব্বে দাড়িয়ে রোয়েছে। গাছগুলোই কি অল্প দিনের ? তাদের মোটা মোটা শিকড়গুলি পাথরের মধ্যে প্রবেশ কোত্তে কত কাল লেগেছে! এই সকল মন্দিরের সংস্কারের কোন সম্ভাবনা নেই, আর বিশ পচিশ বছর পরে সমস্ত ভেঙ্গে পোড়ে যাবে, এবং এগুলি কি ছিল তা জান