পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tR হিমালয় । বার পর্য্যন্ত উপায় থাকবে না। এ রকম ভাঙ্গা স্তপ আমরা এ পৰ্য্যন্ত কত দেখেছি ; সেগুলি উদাসীন চোখের সামনে দুদণ্ডের বেশী স্থায়িত্ব লাভ করে নি; কিন্তু এককালে সে সকল স্তপ যে কত গৌরব, কত পবিত্রতা এবং মহিমার অখণ্ড বাসস্থান ছিল, তা ভাবলে মনের মধ্যে একটা সঙ্কোচপূর্ণ ভক্তির আবির্ভাব হয়। মনে হয় জীবন ও মৃত্যু শুধু জীব জগৎকেই যে আচ্ছন্ন কোরে আছে তা নয়, এই জড় জগতের বহু দ্রব্যও জীবিতের ন্যায়ু উচ্চ সম্মান এবং প্রবল খ্যাতি লাভ করে ; কিন্তু কালক্রমে তাদের মৃত্যু হোলে, তখন তাদের মান সম্রাম, খ্যাতি প্রতিপত্তি সমস্তই শৈবালাচ্ছাদিত ইষ্টক বা প্রস্তর স্তপের নিম্নে সমাহিত হোয়ে যায় এবং দর্শকগণ কদাচিৎ তাদের দিকে একবার চক্ষু ফিরিয়ে অতীত গৌরবের কথা চিন্তা করে। । পাণ্ডুকেশ্বরের বাজারটা নিতান্ত ছোট নয় ; কিন্তু যদি বার মাস এখানে লোক বাস কোরতে পারতো, তা হোলে বাজারটি আরও ভাল হোতে। গ্রীষ্মের চার পাচ মাস কেবল এখানে বসবাস কোত্ত্বে পারে, দোকানেও কেবল সেই কয় মাস খরিদ বিক্ৰী হয়। শীত পড়তে আরম্ভ হোলে দোকানী পসারী এবং বাসিন্দা লোকজন বিষ্ণুপ্ৰয়াগ । ধাশীমঠ প্রভৃতি স্থানে উঠে যায় ; গ্রীষ্মের প্রারম্ভে আবার সকলে ফিরে এসে নিজ নিজ আডিডা দখল কোরে বসে। এতদিন এ স্থানটা জনসমাগমশূন্য ছিল, আজ কয়েক দিন হোতে আবার লোক জুটতে আরম্ভ হোয়েছে। কারণ এখানে গ্রীষ্মের সূত্রপাত মাত্র । গ্রীষ্মের সূত্রপাত শুনে পাঠক মনে কোরুবেন না, আমাদের দেশে ফাস্তুন মাসের শেষে যে অবস্থা হয় এখানেও সেই রকম। মাঘমাসের শীতের তিন গুণ শীত কল্পনা কোরে নিলে এ শীতের খানিকটা আভাস পাওয়া যায়, কিন্তু শীতকালের অবস্থা আমরা কিছুতেই কল্পনা কোরে উঠতে পারিনে—তা আমাদের কল্পনাশক্তি যতই প্ৰবল হোক। এখন বরফ গলছে, আর