পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S (8 श्भिाब्लघ्र এখনও নীচে হােতে এসে পৌঁছেনি। পিপাসায় প্রাণ ওষ্ঠীগত, অদূরে ঝরণা, কিন্তু সাধ্য নেই উঠে গিয়ে একটু জল খেয়ে আসি। অল্পীক্ষণ পরে বমি আরম্ভ হোলো, সঙ্গে সঙ্গে পিপাসারও বৃদ্ধি হলো । এই দারুণ পথে বেড়াতে বেড়াতে অনেকবারই আসন্ন মৃত্যু 1 হাত থেকে উদ্ধার পেয়েছি, কিন্তু মনে হলো যেন আজ আর অব্যাহতি নেই। এই মহাপ্রস্থানের পথে একটা ব্যর্থজীবন তার অলস মধ্য আহ্নেই কি আয়ুর শেষ প্ৰান্তে এসে উপস্থিত रुएन। হয়, আজ সকালে ও জানতুমি না। এই নিৰ্জন স্থানে, সঙ্গীহীন অবস্থায় এ রকম ভাবে প্ৰাণবিয়োগ হবে । শারীরিক যাতনার সঙ্গে এইরূপ মানসিক চিন্তার উদয় হওয়ায় প্ৰাণ আরো ছট ফটু কোর্তে লাগলো। মৃত্যু ভয়ে যে বেশ কাতর হোয়েছিলুম। এমনও বলতে পারিনে। দুঃখ, কষ্ট, অশান্তি, যন্ত্রণ। কিসের অভাব আছে, যার জন্যে মৃত্যুর শান্তি এবং নিরুদ্বেগ তুচ্ছ জ্ঞান কোৱবো ? তবে এত যন্ত্রণাতেও যে বেঁচে থাকতে ইচ্ছ। হোচ্ছিল, এটাও অস্বীকার কোরুতে পারছিনে। আসল কথা, আমাদের জীবনের প্রতিদিনের এই অভ্যস্ত স্রোত এবং সুখ দুঃখ হাসি কান্নার চক্রের মধ্যে হঠাৎ যে, অজ্ঞাত, পরীক্ষাতীত, রহস্যসন্ধুল ঘটনার নূতনত্ব এসে সমস্ত গোল কোরে দেবে এবং বৰ্ত্তমানের সমাপ্তি হোয়ে যাবে, এ দেখতে আমরা রাজী নই ; তাই হাজার দুঃখেও আমরা মৃত্যু চাহনে। কে জানে মৃত্যুর পর আমাদের প্রাণ বৰ্ত্তমানের আকাজক্ষা, অভাব ও কষ্টের প্রাবল্যকেই কত সুমধুর বোলে পুনর্বার তা পাবার জন্যে আগ্রহ করে কি না ? বেলা যখন দ্বিপ্রহর হোয়ে গেছে, তখন আমার সঙ্গীদ্বয় এসে। পৌছুলেন । তারা পথশ্রমে দুই জনে মরার মত হোয়ে এসেছিলেন, কিন্তু আমার অবস্থা দেখে তারা নিজের কষ্ট ভুলে অবাক হোয়ে দাড়িয়ে রইলেন । তার পরেই স্বামীজী ব্যস্ত সমস্ত হোয়ে আমাকে কোলে